পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উAমাজ i 8 ©ዓ যাইতেছে.। ত্রিবেণী নিবাসি অতি বিখ্যাত জগন্নাথ তর্ক পঞ্চানন ভট্টাচায্যের প্রপৌত্র শ্ৰীযুত হরদেব তর্কালঙ্কারপ্রভৃতি অনেক ব্রাহ্মণ পণ্ডিত যাহারা শ্ৰীযুতের নিকট পূৰ্ব্বে দানগ্রহণ করিয়াছেন তাহারদিগের একেবারে বিশ্বাস হইয়াছে অপর চন্দ্রিক সম্পাদক ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় সাক্ষাৎ করিয়া স্বীয় পত্রে লিখিয়াছেন তামরা নিঃসন্দিগ্ধ হইয়। নিঃশঙ্কে পাঠকবর্গের সন্দেহভঞ্জনার্থ শ্ৰীযুত মহারাজাধিরাজের বৃত্তান্ত প্রকাশ করিতেছি পাঠকবর্গের স্মরণে আছে রাজাধিরাজের আগমনাবধি আমরা মধ্যে২ সংবাদ প্রকাশ করিয়া থাকি কিন্তু গত তাবৎকাগজে সন্দিগ্ধ রাজা বলিয়া লিখিয়াছি তাহার কারণ আমারদিগের সন্দেহ দূর হয় নাই এইক্ষণে সন্দেহ ভঞ্জন হইয়াছে ঐ সম্পাদক মহাশয় বিশ্বাসের কারণ এই কহেন শ্ৰীযুত বাবু দেবনারায়ণ দেবের সাক্ষাতে শ্ৰীযুত মহারাজকে কম্পটন সাহেবের বাগান ক্রয় এবং বিচর সাহেবের সঙ্গে কিরূপ ব্যবহার ছিল এই সকল জিজ্ঞাসা করিবাতে মহারাজ উত্তর করিলেন কম্পটন সাহেবের বাগান ক্রয় করণার্থ দেখিতে গিয়া ছিলেন আর সওদাগর বিচর সাহেব তাহঁণর নিকট এক লক্ষ টাকা ধার করেন এবং যে সাহেব তাহাতে জামীন ছিলেন তিনি একজন প্রধান কৰ্ম্মকারক তাহার নামও কহিলেন । এতদ্দেশীয় প্রাচীন লোকেরা এই সম্বাদশ্রবণে আশ্চৰ্য্য জ্ঞান করিতে পারেন শ্ৰীযুত বিরূপাক্ষ ভট্টাচাৰ্য্য যিনি গণনাতে লোকেরদের বিশ্বাস্ত এবং অনেকে বিশ্বাস করেন তিনি দৈবীশক্তিতেই ভূতভবিষ্যদ্বিষয় কহিতে পারেন ঐ ভট্টাচাৰ্য্য আসিয়া বহুলোকের সাক্ষাতে গমনপূৰ্ব্বক কহিলেন আমি সাহস করিয়া বলিতেছি এই মহাশয় মহারাজাধিরাজ তেজশ্চন্দ্র বাহাদুরের পুত্ৰ শ্ৰীযুত মহারাজ প্রতাপচন্দ্র বাহাদুর বদ্ধমান রাজ্যাধিকার অবশু প্রাপ্ত হইবেন যদি একথা মিথ্যা হয় তবে শাস্ত্র এবং আমার ব্রহ্মণ্যদেব মিথ্যা হইবেন । নারদ – জ্ঞানান্বেষণ । ( ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৩৮ । ৭ ফাল্গুন ১২৪৪ } শ্ৰীযুত দর্পণ সম্পাদক মহাশয় সমীপেষু — স্বয়ং রাঙ্গ প্রতাপচন্দ্র বলিয় যে ব্যক্তি পতাকা উড্ডীয়মান করত কলিকাতার মধ্যে ভ্রমণ করিতেছেন তিনি রাজা প্রতাপচন্দ্র কি না আমি নিশ্চয় বলিতে পারি না । কিন্তু নিজ রাজবাটীর প্রাচীন লোকের বাক্য প্রমাণে বোধ হইতেছে মহারাজ প্রতাপচন্দ্রের মরণ ব্যাপার অত্যাশ্চৰ্য্য বটে তাহার বিস্তারিত এই যে অম্বিকা গমনের চারি দিবস পূৰ্ব্বে তাহার জর হয় তাহাতে বারদ্বারিতেই থাকেন ঐ পীড়া শাস্ত্যর্থ রাজ কবিরাজের অনেকে অনেক প্রকার ঔষধ দিয়াছিলেন । তাহার মধ্যে এক ব্যক্তি ঔষধের মধ্যে তাজা বিষ দেন কিন্তু মহারাজ প্রতাপচন্দ্রের অতি প্রিয় পাত্র এক বৈদ্য পূর্বেই জানিয়াছিলেন মহারাজকে তাজা বিষ ভক্ষণ করাইবেন । অতএব ঔষধ প্রস্তুত করিয়া সাক্ষাতে আনিবামাত্র প্রিয় পাত্র কবিরাজ মহারাজকে চক্ষু ঠারিয়া নিষেধ করিলেন । এই প্রকার উদ্যোগ তিন চারি বার হয় এবং বৃদ্ধ মহারাজ সাক্ষাতে বসিয়া ভক্ষণার্থ উপরোধ