পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দান পত্রের দ্বারা আদেশ করেন যে আমার এই সম্পত্তি হইতে লক্ষ ব্রাহ্মণ ভোজন করাণ যায়। তাহাতে কাশীমবাজারস্থ কোম্পানির বাণিজ্য কুঠার অধ্যক্ষ ত্রযুত দ্রোজ [ Droz ] সাহেব এবং কলিকাতাস্থ একজন বাণিজ্যকারি শ্ৰীযুত পি মেটলগু সাহেব তাহার দানপত্রানুসারে কার্য্য নিৰ্ব্বাহাৰ্থ নিযুক্ত হইয়াছিলেন। পরে ১৮১৮ সালে এই বিষয় সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত হয় তাহাতে মাষ্টর সাহেবের প্রতি আজ্ঞা হইল যে লক্ষ ব্রাহ্মণ ভোজন করাওণেতে কত টাকা ব্যয় হইবে এবং তৎকৰ্ম্ম নিৰ্ব্বাহাৰ্থ কোন ব্যক্তি উপযুক্ত ইহা বিলক্ষণ অনুসন্ধান করিয়া রিপোর্ট করেন পরে তিনি রিপোর্ট করিলেন যে ঐ ব্যাপারেতে ৪৩ হাজার টাকা ব্যয় হইবে এবং মৃত ব্যক্তির জামাতা দেবনাথ সান্তাল তৎকৰ্ম্ম নির্বাহার্থ অত্যুপযুক্ত । তাহাতে জজ সাহেবের তৎক্ষণাৎ ঐ দুই জন টৰ্ণিকে উক্তসংখ্যক টাকা দেবনাথ সান্যালের হস্তে দেওনার্থ এবং মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির অবশিষ্ট টাকা কোর্টে দাখিল করণার্থ আজ্ঞা দিয়া তাহারদিগকে ঐ কৰ্ম্ম হইতে মুক্ত করিলেন। পরস্তু বোধ হয় যে ১৮২৭ সালের পূৰ্ব্বে দেবনাথ সান্যাল ঐ ব্যাপার আরম্ভ করিতে পারিলেন না । বিলম্বের কারণ আমরা অবগত নহি অপর তৎসময়ে ব্রাহ্মণ ভোজনের নিমিত্ত যে টাকা নির্দিষ্ট হয় তাহা বিলম্ব প্রযুক্ত স্থদের দ্বারা ৬৪ হাজার টাকা পৰ্য্যন্ত বৃদ্ধি হইল। পরে সান্যাল সুপ্রিম কোর্টে এক দরখাস্ত দ্বারা নিবেদন করিলেন যে আর ৪০ ০০ ০ অভুক্ত ব্রাহ্মণ পাওয়া যায় না তাহাতে আপনার অধীনস্থ অবশিষ্ট ২৭০ ০০ টাকা কোর্টে জমা করণের অনুমতি প্রার্থনা করিলেন এবং বোধ হয় যে তদ্বিষয়ের অনুমতি প্রাপ্ত হইলেন কিঞ্চিৎ কালানস্তর ঐ দেবনাথ সান্যালের লোকান্তর হইলে তদীয় দ্বিতীয় পুত্র সীতানাথ সান্যাল ও অন্য এক ব্যক্তির মধ্যে পৈতৃক ধন বিভাগ করণ এবং ঐ ব্রাহ্মণ ভোজন করাওণ বিষয়ে বিবাদ হওয়াতে ঐ মোকদ্দমা এইক্ষণে স্থপ্রিম কোর্টে উপস্থিত হইয়াছে এবং ঐ কোর্ট তথাকার মাষ্টর শ্ৰীযুত ডবলিউ পি গ্রান্ট সাহেবকে এই২ বিষয়ে বিলক্ষণ অনুসন্ধান পূর্বক রিপোর্ট করিতে আজ্ঞা দিয়াছেন যে দেবনাথ সান্তাল ৬০ ০০ ০ ব্রাহ্মণ ভোজন করাইয়াছেন কি না এবং ঐ ব্যাপারের নিমিত্ত প্রথমে র্তাহাকে যে টাকা দেওয়া যায় তাহার মধ্যে কত টাকা উদ্ধৃত্ত আছে এবং আর অবশিষ্ট ৪০ ০০ ০ ব্রাহ্মণ ভোজন করাইতে কত টাকা ব্যয় হইবেক । - ( ২০ নবেম্বর ১৮৩০ । ৬ অগ্রহায়ণ ১২৩৭ ) শ্ৰীযুত বাবু রামমোহন রায়ের যাত্রা —শ্ৰীযুত বাবু রামমোহন রায় স্বীয় পুত্র ও চারি জন পরিচারক সমভিব্যাহৃত হইয়া আলবিয়ননামক জাহাজে আরোহণপূর্বক বিলায়তে গমন করিয়াছেন। কলিকাতার ইঙ্গরেজী সম্বাদপত্রেতে বাবুর এই কৰ্ম্মেতে অতিশয় প্রশংসা প্রকাশিত হইয়াছে এবং ইংল্পগুদেশে এমত নানা স্বৰূখ্য বস্তু আছে যে তাহাতে ঐ বাবুর যাদৃশ অম্বুরাগ ও বিদ্যা তন্দ্বারা বোধ হয় যে র্তাহার তাহাতে অত্যন্ত সন্তোষ জন্মিবে ইহা অবগত