পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্ম goo. নিবেদন করিতেছি আপনি দয়াপূর্বক এবিষয় বিবেচনা করিয়া যাহাতে একৰ্ম্ম আর না হইতে পারে এমত আজ্ঞা করিবেন ইতি । ১৮৩৩ । ১২ নবেম্বর । আমরা সৰ্ব্বদা আপনকার মঙ্গল প্রার্থনা করিব । শ্ৰদক্ষিণানন্দ মুখোপাধ্যায় ও অন্যান্য । মাজিস্ত্রেট সাহেবের হুকুম –এ অনিষ্টজনক বিষয় নিবারণ করা উচিত কিন্তু এবংসর হইয়া গিয়াছে অতএব দরখাস্তকারিরা আগত বৎসর পুনৰ্ব্বার দরখাস্ত করিলে পোলীশ এবং অন্যান্য লোকেরা ইহাতে মনোযোগ করিবেন এবং যদ্যপি বাধা না থাকে তবে ঐ সম্পূর্ণ ব্যবহার রহিত করা যাইবেক ইতি —জ্ঞানান্বেষণ । ( ১৭ আগষ্ট ১৮৩৩ । ২ ভাদ্র ১২৪০ ) ...যে সকল লোক অতিশয় রোগে ক্লিষ্ট হইয়া দুই এক দিবসে পঞ্চত প্রাপ্ত হইতে পরিবে এবং তন্নিমিত্ত হিন্দুলোকেরদের রীত্যন্থযায়ি ৬/ গঙ্গাতীরে আনীত হয় সেই সকল লোকেরদের কারণ ঐ নদীর তীরে নিমতলায় গবর্ণমেণ্টের হুকুমে দুই তিন অতিবৃহৎ খডুয়াঘর অল্প দিনের মধ্যে প্রস্তুত হইয়াছে । অতএব হে সম্পাদক মহাশয় এরূপ কৰ্ম্মে দয়াপ্রকাশৰ্থ দেশাধিকারিরদিগকে প্রশংসা করি যেহেতুক উপযুক্ত ও নিকটবর্তি ঘরের অভাবপ্রযুক্ত যখন কোন মৃতকল্প হিন্দু আপন পরিজনকর্তৃক গঙ্গাতীরে আনীত হয় তখন গঙ্গার স্বশীতল বায়ুর মধ্যে রাখাতে র্তাহারদের অধিক অস্বাস্থ্য ও ক্লেশ জন্মিয় থাকে। কোন২ ব্যক্তি চূণের গোলায় রাখেন বটে কিন্তু তাহাও অতিক্লেশদ নিবেদনমিদং । কস্যচিদপৰ্ণপাঠকস্ত । ( ২ মে ১৮৩৫ । ২০ বৈশাখ ১২৪২ ) গঙ্গাতীরে লইয়া গিয়া রোগি ব্যক্তিকে যাইচ্ছাতাই একটা খডুয়া ঘরে রাখে তাহাতে দিবার রৌদ্র ও রজনীর শিশির কিছু নিবারণ হইতে পারে না । এমত স্থানে দুই এক দিবসপৰ্য্যন্ত থাকিতে হয় তাহাতে তৎকালীন দুরবস্থানুসারে সম্ভাবনীয় পীড়াসকল তাহার মনে উপস্থিত হওয়াতে পরিশেষে অতিক্ষীণ হয়। ফলতঃ মুর্থ চিকিৎসকের পরামর্শক্রমেই এমত ব্যক্তিকেই গঙ্গাতীরে লইয়া যায়। পরে তাহাকে ঐক্সপ ঘরহইতে উঠাইয়া প্রবাহসমীপে লইয়া অৰ্দ্ধ শরীর জলমগ্ন করিয়া অৰ্দ্ধ রৌদ্রের তাপে আর্দ্রভূমিতে রাখে অনন্তর দুই এক জন আত্মীয় স্বজন তাহার পাদাঙ্গুষ্ঠ মৃত্তিকাতে ঠেসিয়া ধরে কোন ব্যক্তি তাহার বক্ষস্থলে মৃত্তিক লেপন করিয়া হরিবোল২ বলত কিঞ্চিৎ২ গঙ্গাজল মুখে দেয় কিন্তু এমতও হইতে পারে যে ঐ মুর্থ চিকিৎসক রোগ ঠাহরাইতে না পারাতে অতিশীঘ্র তাহার মরণ সম্ভাবনা থাকে না এবং রোগিরো বোধ হয় যে আমার শীঘ্ৰ মৃত্যু হইবে না তাহাতে সে চেঁচাইয়া কহিতে থাকে যে আমি এইক্ষণে মরিব না আমাকে এখানহইতে উঠাইয়া লইয়া যাও তাহাতে আত্মীয় স্বজন ঐ যমসম চিকিৎসককে পুনৰ্ব্বার জিজ্ঞাসা করাতে তিনি বোধ করেন যে এখন ফিরাইয়া লইয়া