পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংবাদ পূর্ণচন্দ্রোদয়’ হইতে সঙ্কলিত ‘সংবাদ পূর্ণচশ্রোদয় প্রথমে মাসিকপত্ররূপে প্রতি পূর্ণিমায় কলিকাতা হইতে প্রকাশিত হইত। ইহার প্রথম সংখ্যার প্রকাশকাল—১৭ জুন ১৮৩৫ । ইহার তৎকালীন সম্পাদক ছিলেন-হরচন্দ্র বদ্যোপাধ্যায় । আমরা প্রথম বর্ষের ‘সংবাদ পূর্ণচন্ত্রোদয় পত্রের ১ম-৬ষ্ঠ ও ১০ম সংখ্যা দেখিয়াছি ; তাহা হইতে নিম্নোদ্ধত অংশ সঙ্কলন করিয়া দেওয়া হইল । শিক্ষা ( ૩૦ (ત્ર ન્ય૩૮ ની રક્ત છTછે ૩૨8ર ) সংস্কৃত কালেজ –কিয়দিবস গত হইল শ্ৰীলশ্ৰীযুক্ত গবৰ্ণর জেনেরল বাহাদুরকতৃক সাধারণ বিদ্যা বৃদ্ধার্থক সমাজাধিপতি সাহেবেরদিগের পত্রের প্রত্যুত্তরস্বরূপে এক আঞ্জা প্রকাশ হইয়াছে যে ইংরাজি ভাষা ভিন্ন অন্যান্য বিদ্যাসম্পাদনতার কোন প্রয়োজন নাই আমরা ঐ সম্বাদ অবগত মাত্রই হরিষে বিষাদাম্বিত হইয়া আত্যস্তিকোংকষ্ঠিত পূর্বক সজল নয়নে অনাথার ন্যায় রোদনবদনে দেশাধিপতি শ্ৰীলশ্ৰীযুত কোম্পানি বাহাদুরের গবর্ণমেণ্ট সদনে অধোলিখিত বিষয় বিজ্ঞাপন করিতে সচেষ্টত হইলাম কারণ ঐযুতের এমত অভিপ্রায় প্রকাশ হইয়াছে যে সংস্কৃত কলেজে ভবিষ্যন্ধিযুক্ত ছাত্রেরা বেতন পাইবেন না এবং কোন পণ্ডিত র্তাহার পদচ্যুত হইলেও সে পদে অন্ত লোক নিযুক্ত করিবেন না ঐ পদ একেবারে উতথাতন করিবেন এতাদৃশ আজ্ঞাদ্বারা অনুমান হয় যে সংস্কৃত বিস্তামন্দিরের অচিরস্থায়িত্ব সম্ভাবন হইয়াছে কেননা এই বিষ্ঠা মন্দিরে যে সকল ছাত্রের নিযুক্ত হন তাহার মধ্যে প্রায় সকলেই বিদেশী ও দরিদ্র সুতরাং উপজীবিকাভাবে তাহারা নগরস্থায়ি হইতে অপারক পূর্বক বিদ্যাধ্যয়ন করিতে শক্য হইবেন না যেসকল ব্রাহ্মণ পণ্ডিতের বালকের দূরদেশ হইতে সংস্কৃত শাস্ত্রাধায়নার্থে এতন্মহানগরে আগমন করেন তাহার যদ্যপি অন্যান্ত ক্ষুদ্র চতুষ্পাঠীতে বিদ্যাধ্যয়নার্থ নিযুক্ত হন তাহাতে তদধ্যাপক নিজহইতে ঐ ছাত্রের জীবিকা দানপূর্বক স্বীয় চতুষ্পাঠী স্থায়ি করিয়া তাহাকে শাস্ত্রাধ্যাপন করান অতএব দীন ও দূরদেশস্থ বালকের এতন্মহানগরে থাকিয়া সংস্কৃত বিদ্যোপার্জন করেন এমত সম্ভাবনা কোনমতে হয় না বিশেষত এক্ষণে সংস্কৃত বিস্তামন্দিরে বুঝি কোন বালক প্রবিষ্ট হইবেন না এবং যে সকল বালকেরা বর্তমানাবস্থায় উক্ত বিদ্যালয়ে নিযুক্ত আছেন তাহারাও কিঞ্চিৎকাল বিলম্বে তাহারদিগের নিয়মানুসারে পাঠ সুমাপ্তি হইলে কমিটীর সাহেবেরদিগের এক স্থখ্যাতি পত্র প্রাপ্ত হইয়া ঐ বিদ্যালয় হইতে নির্গত হইবেন অথবা যদ্যপি কোন পণ্ডিতের পদ পুনঃ স্থাপন না হয় তবে অত্যন্ত্রকাল মধ্যে বিদ্যামন্দির শূন্ত হইবে তাহাতে কিছুমাত্র সন্দেহ নাই। পরস্তু ঐ বিদ্যালয়ে আয়ুৰ্ব্বেদশাস্বাধ্যাপনার্থে এক পণ্ডিত নিযুক্ত ছিলেন তাহার ঐ পদ শূন্ত হইলে অন্ত এক পণ্ডিত ঐ শূন্তপদে নিযুক্ত হইয়াছিলেন এবং অন্যান্য পণ্ডিতের পদখুন্ত হইলেও অন্যান্ত লোক সেই২