পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৮১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্পাদকীয় ꬃፋ¢ রামমোহনের জীবিতকালে বিলাতযাত্র ও বিলাতপ্রবাস উপলক্ষ্যে রাজারাম সম্বন্ধে সংবাদ সমসাময়িক দেশী ও বিলাতী সংবাদপত্রে পাওয়া যায়। আমি যত দূর দেখিয়াছি, এই সকল সংবাদে এক স্থল ব্যতীত সৰ্ব্বত্র রাজারামকে রামমোহনের পুত্র বলিয়া উল্লেখ আছে ; এই ব্যতিক্রম হইয়াছে একটি বিলাতী পত্রে—উহাতে রাজারামকে রামমোহনের পালিত পুত্র বলা হইয়াছে। রামমোহনের জীবিতকালীন এই সকল সংবাদের মধ্যে একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য । উহা প্রকৃতপক্ষে সংবাদ নহে— একটি কবিতা ; ১৮৩০ সনের ৪ঠা ও ৮ই নবেম্বর তারিখে ‘সমাচার চন্দ্রিকা’য় প্রকাশিত হয় । তখন রামমোহনের বিলাত যাইবার আয়োজন উদ্যোগ চলিতেছে । এই উপলক্ষ্য পাইয়া রামমোহনের মতামতের বিরোধী কোন ব্যক্তি রামমোহনের নিজের উক্তির রূপ দিয়া ‘দ্বিজরাজের খেদোক্তি' নামে এই কবিতাটি রচনা করেন । উহাতে রামমোহন সম্বন্ধে নানা কথার মধ্যে রাজারাম সম্বন্ধে এই পংক্তি কয়টি আছে,— * “যবনী প্রয়িসী গর্ভে সুপুত্র জন্মিল । রাজা নাম দিমু তার নিকটে রহিল ॥ 囊 弈 嶽 籌 এ সকল ছেড়ে ছুড়ে যাইতে হইল । কেবল সুপুত্র রাজা সঙ্গেতে চলিল ॥” এইবারে রামমোহনের মৃত্যুর অব্যবহিত পরবর্তী সাত-আট বৎসরের মধ্যে রাজারামের যে পরিচয় দেওয়া হইয়াছিল তাহার আলোচনা করা যাইতে পারে। ১৮৩৩ সনে রামমোহনের বিশিষ্ট বন্ধু ডাঃ ল্যাণ্ট কাপেন্টার স্বরচিত রামমোহন-জীবনীতে রাজারামকে রামমোহনের কনিষ্ঠ পুত্র ("youngest son") বলিয়া উল্লেখ করেন । এই বৎসরেই জন কিং নামে এক জন চিত্রকর রাজারামের একটি প্রতিকৃতি অঙ্কন করেন । উহা পর-বৎসর অর্থাৎ ১৮৩৪ সনে "Portrait of Rajah of Ram, son of Rajah Ram Mohun Roy" এই নামে রয়্যাল অ্যাকাডেমির প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হয়। ১৮৩৫ সনে রাজারাম বোর্ড অব কনট্রোলের আপিসে কেরানী নিযুক্ত হন । তখন সমস্ত সরকারী কাগজপত্রে তাহাকে রামমোহনের পুত্র বলিয়াই উল্লেখ করা হইয়াছিল, এবং এই বিষয়ে বে-সরকার। সাময়িক পত্রে যে-সকল সংবাদ প্রকাশিত হইয়াছিল তাহাতেও প্তাহাকে রামমোহনের পুত্র বলিয়াই পরিচয় দেওয়া হইয়াছিল । ইহার দৃষ্টান্ত হিসাবে ‘সমাচার দর্পণে প্রকাশিত চারিটি সংবাদের উল্লেখ করা যাইতে পারে। ইহাদের সকলগুলিতেই রাজারামকে রামমোহনের পুত্র বলিয়া বর্ণনা করা হইয়াছে। ১৮৩৮ সনে রাজারাম যখন স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন তখনও যে-জাহাজে তিনি আসেন তাহার যাত্রী-তালিকায় তাহাকে রামমোহনের পুত্র বলিয়াই পরিচয় দেওয়া হইয়াছিল। এই সংবাদটি যখন সমাচার দর্পণে প্রকাশিত হয় তখনও তাহাকে রামমোহনের পুত্র বলিয়াই বর্ণনা করা হয় । ‘সমাচার দর্পণে প্রকাশিত সংবাদগুলির মধ্যে আর একটি লক্ষ্য করিবার এই যে, লেখক রাজারামকে “রামমোহন রায়ের যে পুত্র পিতার সঙ্গে বিলাতে গমন করিয়াছিলেন," “রামমোহন রায়ের যে পুত্র বোর্ড কন্ত্রোলে মুহুরীর পদে নিযুক্ত হইয়াছিলেন, এই ভাবে উল্লেখ করিয়াছেন । সুা যায় তাহার রামমোহনের মৃত্যুর অব্যবহিত পরে রাজারাম তাহার পুত্র বলিয়া যে পরিচয় পাও & ঃি কাপেন্টার ভারতবর্ষ হইতে একটি পত্র পান (উহার میری * ۹**** بالا (۹۹ به اtr همچ چاقیم