সাহিত্য ఆక ( ২৬ ডিসেম্বর ১৮১৮ । ১৩ পৌষ ১২২৫ ) সহমরণ –কলিকাতার শ্ৰীযুত রামমোহন রায় সহমরণের বিষয়ে এক কেতাব করিয়া সৰ্ব্বত্র প্রকাশ করিয়াছে। তাহাতে অনেক লিখিয়াছে কিন্তু স্কুল এই লিথিয়াছে যে সহমরণের বিষয় যথার্থ বিচার করিলে শাস্ত্রে কিছু পাওয়া যায় না। ( ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৮১৯ । ১০ ফাঙ্কন ১২২৫ ) পুস্তক ছাপান - যে দেশে ছাপার কৰ্ম্ম চলিত না হইয়াছে সে দেশকে প্রকৃতরূপে সভ্য বলা যায় না এই দেশে পূৰ্ব্বকালে কতক২ লোকের ঘরে পুস্তক ছিল এবং অল্প লোক বিদ্যাভ্যাস করিত অন্য২ সকল লোক অন্ধকারে থাকিত এখন এই দেশে ক্রমে২ ছাপার পুস্তক প্রায় ছোট বড় ঘর সকল ব্যাপ্ত হইতেছে । গত দশ বৎসরের মধ্যে আন্দাজ দশ হাজার পুস্তক ছাপা হইয়াছে কিন্তু সকল পুস্তক এক স্থানে নাই নানা লোকের ঘরে বিলি হইয়াছে এবং যে ব্যক্তি এক পুস্তক লইয়াছে তাহার অন্য পুস্তক লওনের চেষ্টা জন্মে এই রূপে এ দেশে বিদ্যা প্রচলিত হইতেছে । ( ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৮১৯ | ১৭ ফণজ্বন ১২২৫ ) পঞ্জিকা —এতদ্দেশে নবদ্বীপ ও মৌলা ও বারইখালি ও বাকল ও খানাকুল ও বজরাপুর ও বালি ও গণপুর এই সকল গ্রামে পঞ্জিকা প্রস্তুত হয় ইহার মধ্যে কতক অামারদের নিকটে পৌছিয়াছে সকল পঞ্জিকা আইলে আগামী বৎসরের গ্রহণাদি ছাপান যাইবেক। ( ২৭ মার্চ ১৮১৯ | ১৫ চৈত্র ১২২৫ ) নূতন পুস্তক —শ্ৰীযুত রামমোহন রায় অথৰ্ব্ব বেদের মণ্ডুকোপনিষদ ও শঙ্করাচাৰ্য্য কৃত তাহার টীকা বাঙ্গালা ভাষাতে তর্জমা করিয়া ছাপাইয়াছেন । ( ৩ এপ্রিল ১৮১৯ । ২২ চৈত্র ১২২৫ ) পুস্তক ছাপান –এ দেশের এই এক মঙ্গলের চিহ্ন যে নানা প্রকার পুস্তক ছাপা হইতেছে যে হেতুক এই ছাপা পুস্তকের গমন স্রোতের ন্যায় যেমন ক্ষুদ্র নদী নির্গত হইয়া ক্রমে২ বৃদ্ধি পাইয়া সৰ্ব্ব দেশে ব্যাপ্ত হইয়া সেই দেশকে উর্বর করে সেই মত ছাপার পুস্তক ক্রমে২ সকল প্রদেশ ব্যাপ্ত হইয়া সকল লোকের বোধগম্য হওয়াতে তাহারদের মন উচ্চাভিলাষি করে পূৰ্ব্বকালে বৰ্দ্ধিষ্ণু লোকের ঘরেতেও তাল পত্রে অক্ষর মিল ভার ছিল ছাপার আরম্ভ হওয়া অবধি ক্ষুদ্র ২ লোকের ঘরেতেও অধিক পুস্তক সঞ্চার হইয়াছে। এই ক্ষণে মোং কলিকাতার শ্ৰীযুত বাবু রাধাকান্ত দেব এক নূতন অভিধান করিয়া ছাপ৷ করিতেছেন । আমরা শুনিয়াছি ষে চারি বৎসর আরম্ভ হইয়াছে অদ্যাপি অৰ্দ্ধ হয় নাই।
পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/১০৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।