Sao মংবাদ পত্রে মেকানের কথা করা যায় তবে তাহারা পরাপেক্ষ না করিয়া স্বেচ্ছানুসারে ঐ রসপান করিয়া তৃপ্ত হইতে পারেন । অতএব সে সকলের তুষ্টি ও ইষ্টসিদ্ধির কারণ নিশ্চয় করা গেল যে নানা দেশীয় সমাচার পরিসীভাষাতে ছাপা হইয় প্রতিসপ্তাহে প্রকাশ হয় তাহাতে যে সকল লোক এ থেভোগেচ্ছুক হইয়াও পাঠ করণ শক্তি না থাকাতে ক্ষান্ত ছিলেন কেহব। পরোপাসনা করিয়াও ইষ্টসিদ্ধি করিতেন তাহারা স্বচ্ছন্দে স্বাধীনতারূপে প্রতিদেশীয় সম্বাদবিগত হইয়া আত্মমনোবিনোদ করিতে পরিবেন। এবং পারসী ভাষায় সমাচার পত্র হওয়াতে অনেক ভাগ্যবান লোকের অনুমতিও আছে। ঐ সম্বাদ পত্রের নাম পৈকনামাবর স্থির করা যাইবে তাহার প্রত্যেক কাগজের মূল্য চারি অনা অর্থাৎ এক মাসে এক টাকা তাহ চারি পৃষ্ঠেতে ছাপাইবেক । ইহা ব্যতিরেকে কোম্পানির রীভ্যনুসারে শিকী ডাকের খরচ লাগিবেক অর্থাৎ যেখানে চিষ্ঠার মাশুল আট আনা সেখানে পৈকনামাবরের দুই আন লাগিবেক। ঐ কাগজ মঙ্গলবারে ছাপা হইয়। বুধবারে স্বাক্ষরকারিরদিগের নিকট পাঠান যাইবেক । অতএব জ্ঞাত করা যাইতেছে যে কোন মহাশয়ের লইবার বাসনা হয় তাহারা আপনারদের নাম ও নিবাস লিথিয় শ্রীরামপুরের ছাপাখানায় পাঠাইয় দেন যে তদনুসারে পৈকনামাবর প্রতিসপ্তাহে বুধবারে তাহারদের নিকটে পাঠান যায়। ইহার ব্যয়োপযুক্ত সংস্থান হইলে অর্থাৎ স্বাক্ষরকারিরদের নাম পাওয়া গেলে ছাপা আরম্ভ হইবেক । ( ৬ মে ১৮২৬ । ২৫ বৈশাখ ১২৩৩ ) ইশতেহার।...শ্ৰীশ্ৰীযুত গবর্নর জেনরল বাহাদুর সৰ্ব্বলোক হিতার্থে পারসি ভাষাতে এই সমাচার দর্পণের তর্জমা করিয়া প্রকাশ করিতে অতুজ্ঞ করিয়াছেন। এবং আমরা অদ্যাবধি আখবারে শ্রীরামপুর নামে পারসী কাগজ প্রকাশ করিতে আরম্ভ করিলাম।...ইহার মূল্য দর্পণের মূল্যানুসারে মাসে এক টাকা ও ডাকমাস্থলের চতুর্থাংশ লওয়া যাইবেক ” ( ১৩ মে ১৮২৬ । ১ জ্যৈষ্ঠ ১২৩৩ } গত শনিবার অবধি আখবারে শ্রীরামপুর নামে পারসিয়ান সমাচারপত্র শ্রীরামপুরের ছাপাখানায় ছাপা হইয়া সৰ্ব্বত্র প্রেরিত হইতে আরম্ভ হইয়াছে অতএব যদি কোন মহাশয় ঐ পারসিয়ান সমাচারপত্র গ্রহণেচ্ছা করেন তবে তিনি শ্রীরামপুরে আপন নাম ও নিবাস পাঠাইলে সপ্তাহে২ কাগজ পাইতে পারিবেন তাহার মূল্য মাসে এক টাকা। ( ১৪ জুন ১৮২৩ । ১ আষাঢ় ১২৩e ) নবীন সম্বাদপত্র – শুনা গেল যে কলিকাতার চোরবাগাননিবাসি শ্ৰীযুত মথুরামোহন
পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/১৩৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।