পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిసి ఆ সংবাদ পত্রে মেকালেৰ কথা সময়ে তাহার মনোরমা নৌকাহইতে নামিয়া পূর্ণিমার মধ্যে গঙ্গাস্নান করিতেছিলেন এমত সমল তাহার সতীত্ব রক্ষা করিতে ভগবান জোয়াররূপ হইয়া আইলেন পরে অনেক নৌকার ভিড় হওয়াতে বড় গোল হইল। গুণবতী আপন নৌকা চিনিতে না পারিয়া অন্ত কোন পুণ্যবানের নৌকাতে পদার্পণ করিয়া পবিত্র করিলেন কিম্বা কাহারে সহিত সঙ্কেতইবা ছিল কিছু বুঝা গেল না কিন্তু পুনরায় গুণনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎ হইল না সেই স্নানযাত্রায় শুভ যাত্রা করিয়াছেন মনে করি হতভাগার ভাগ্যে আর দেখা হয় কি না হয় কিন্তু বাৰু সেই ঘাটে২ মঙ্গল গাইয় বেড়াইলেন এবং ঐ নগরের মধ্যে দ্বারে২ অম্বেষণ করিলেন সাক্ষাৎ হইল না । অতএব নিবেদন হে শৌকীন মহাশয়ের এই মত শোক শুনিয়া বমি উঠে সাবধান২ এমত কৰ্ম্ম আর কেহ না করেন । অজ্ঞাত কুলশীল নামক এক ব্যক্তি পরোপদেশার্থ এই কথা পাঠাইয়াছিলেন তন্নিমিত্ত ছাপান গেল । ( ৩০ জুন ১৮২১ । ১৮ আtযাঢ় ১২২৮ ) বৃদ্ধের বিবাহ —দক্ষিণ দেশে ফরকাবাজ নামে এক গ্রামের অবুঝচন্দ্র নামে এক ব্রাহ্মণ বহুকালাবধি মাতামহালয়ে কলিকাতা থাকিয়া শিষ্য যজমান করিয়া কিঞ্চিৎ ধন সঞ্চয় করাতে পাঁচ শত টাকা ব্যয় করিয়া বিবাহ করিয়াছিলেন তাহাতে তিন চারি পুত্র ও দুই তিন কন্য জন্মিয়া সংসার সুন্দরব্রুপে নিৰ্ব্বাহ হইতেছিল ইতোমধ্যে ঐ ব্রাহ্মণের স্ত্রীর কাল হওয়াতে তিনি দুঃখসাগরে মগ্ন হইয়া পৈতৃক বাটীতে গেলেন । সেখানে গিয়া অনেক ঘটকের সাক্ষাতে কহিলেন যে আমার গৃহ শূন্য হইয়াছে যদি তোমরা আমাকে স্থাপিত কর তবেইত সংসারে থাকি নচেৎ দুই চক্ষু যে দিকে যাইবে সেই দিকেই যাইব । ইহা কহিতেই চক্ষুর জলে বুক ভাসিয়া গেল তাহ দেখিয়া ঘটকেরা তাহাকে আশ্বাসরূপ ঘোটকারোহণ করাইলেক ও কহিলেক যে এ কোন আশ্চৰ্য্য মহাশয়ের বয়ঃক্রম কত হইবেক । তিনি কহিলেন যে প্রায় সতরি বৎসর কোষ্ঠী রাখি না ঠীক বলিতে পারি না ছেহত্তরের মম্বস্তরের সময়ে আমার বয়স বৎসর পচিশ ছাব্বিশ হইবেক আর এই যে দেখিতেছ দস্ত গুলা পড়িয়াছে সে শুদ্ধ জল দোযের কারণ আর বেয়ে ধাতুপ্রযুক্ত চুল পাকিয়াছে কিন্তু শক্তি এমত অদ্যাপি ত্রিশ । পচিশ দণ্ড রোজই করি। পরে ঘটকের কস্তার অন্তেষণে দিকে২ গেল মোকাম বৈদ্যবাটাতে আটার উনিশ বৎসরবয়স্ক এক কন্যা স্থির করিয়া আসিয়া কহিল যে ওহে মজুমদার মহাশয় তোমার ভাগ্য ভাল পরম স্থলদরী উনিশ বৎসরবয়স্ক এক কন্যা স্থির করিয়াছি অবীরা কুলীনের মেয়ে ৫০০ টাকা পণ দিতে হইবেক আর সর্বাঙ্গে সোনার গহনা ইহা যদি পার তবে হইবেক আর আমারদের ঘটকালি ১০০ টাকা চাহি। মজুমদার ঐ কথা শুনিয়া আহলাদে ডুবুহু হইয়া কহিলেন যে আজ্ঞা আমি এ সকলি দিব এ কথা প্রকাশ করিবেন না আপনারা শীঘ্র গিয়া লগ্নপত্র করিয়া আইম্বন। ঘটকেরা কহিল যে শুন হে মজুমদার যদি তোমার ভাল করিলাম তবে আর