পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাজ ՏՏԴ ঢাক২ গুড়২ কি সে কুলীনের মেয়ে তাহার পিতা মাতা নাই তত্ৰাপি অন্য জ্ঞাতি আছে তাহারা হইতে দিবেক না অতএব রাহা খরচের টাকা দেও মেয়ে এই খানে উঠিয়া আনি গিয়া । ঘটকের ১০ দশ টাকা রাহা খরচ লইয়া সেই কন্যার আলয়ে গেল। বালিকা কহিলেন যে কি সম্বাদ । ঘটকেরা সকল কথা কহিলেক । কন্যা সেই দণ্ডে এক পালকীতে আরোহণ করিয়া বরপাত্রের গ্রামের নিকটে উপস্থিত হইল। পাত্ৰটী সেইখানে গেলেন কন্যা দেখিয়া হুপ পাচ হাত হইল। পরে কোন ভাগ্যবান লোকের বাটীতে কন্যাকে রাখিলেন পর দিবস বিবাহ হইবেক উভয়ের গাত্রে হরিদ্র দেওয়া গেল হাতে স্থত বান্ধিয়া বরপাত্র আপনি নান্দীমুখ করিলেন । বৈকালে স্বশীল কহিলেন বর কোথা। পরে ছেলেটা আসিয়া সম্মুখে দাড়াইলেন। হাজার যদি শিশু কন্যা হয় তত্ৰাপি কালের মাহাত্ম্যপ্রযুক্ত কহিলেন যে আমি ওবুড় বরকে বিবাহ করিব না । - এই সম্বাদ পাইয়া যত২ আদবুড়া ও পৌন বুড়া আইবুড়া ছিল তাহারা কেহ২ গোপ ছাটিয়া দাতে মিসি দিয়া কেহ২ মাথাময় বেড়ি রাখিয়া কালাপাড়ে ধুতি পরিয়া কেহ ঘড়ী একটা চাহিয়৷ টেকে দিয়া ও গোপে কলফ লাগাইয়া ঐ কন্যার সম্মুখে ঘুৰুিঘু ২ বেড়াইতে লাগিল ইহা দেখিয়া মজুমদার কহিলেন যে আমার গলায় যিনি ছুরি দিবেন তাহার বংশ থাকিবেক না । অনেক বুঝান মুজানের পর কন্যা রাজী হইলেন ও কহিলেন যে তবে আমি বিবাহ করিব যদি গহনা ও টাক। আমার হাতে দেয় । তখন ব্রাহ্মণ বলেন রাম মা দুর্গা দিন দিলেন সেই রাত্রিতে তিনি আপন পরিবারের নিকটে আসিয়া কোন ছল করিয়া গহনা লইয়া গেলেন বাটখানি বন্ধক রাখিয়া ৫০০ টাকা কৰ্জ করিয়া লইয়া দিলেন বিবাহ হইল বাসরঘরে অস্কসার গেল না । সুশীলা কহিলেন যে আমার পীড়া আছে আমাকে স্পর্শ করিও না। পরে কলিকাতা আনিলেন ডাক্তরের ঔষধি দিতে লাগিলেন দশ পোনের দিবসের পর কুলীনের কন্যা আপন কুলে পলাইয়া গেলেন। মজুমদার পাগলের ন্যায় হইয়া বাপুরে মারে শব্দে কান্দিতে২ বৈদ্যবাটীতে গিয়া দেখেন যে দশ পোনের জন নেড়া নেড়ী একত্ৰ মহোৎসব করিতেছে । মজুমদার দেখিয়া শুভ যাত্রা করিলেন ওনামট মুখে আনিলেন না । অতএব শুন বিবাহেচ্ছুক মহাশয়েরা সাবধান২ । ( १ खूलाई ১৮২১ । ২৫ আষাঢ় ১২২৮) প্রেরিত পত্র –কোন মহানগরে বহু দেশীয় বহুবিধ জাতি ভাগ্যবান লোক বাস করেন সেখানে স্থপত্তিত ব্রাহ্মণও অনেক আছেন। তাহারদের যজন যাজন অধ্যয়ন অধ্যাপন দান প্রতিগ্রহ এই সকল ধৰ্ম্মতো আছেই তদ্ব্যতিরিক্ত ভাগ্যবানেরদের ভাগ্যজন্ত বিশেষ আর অনেক গুণও আছে তাহার কিছু আমি বর্ণনা করি। র্তাহারদের প্রাতঃকালাবধি সন্ধ্যাপর্ষ্যস্ত স্বস্ব কৰ্ম্মে নিযুক্ত থাকাতে প্রায় অবকাশ হয় না অথচ অমৃগৃহীত ব্যক্তিকে অনুগ্রহও করা আছে র্তাহারা সকালে গিয়া বাবুকে আশীৰ্ব্বাদ করেন ও নানাবিধ পাণ্ডিত্য প্রকাশ করেন অনেক২ প্রসঙ্গ হইয়া থাকে তাহার একটা লিখি ।