সমাজ ృ(tz প্রব্যের রপ্তানি অনেক ও তাহার আমদানী অল্প এই প্রযুক্ত এ দেশের ধন বাণিজ্যদ্বারা অতিশয় বাড়িতেছে এবং পূৰ্ব্ব নবাবের অধিকার কালহইতে এখন স্থানে২ দেশের সম্পত্তিবৃদ্ধি হইতেছে এখন যত ভাগ্যবান লোক বাঙ্গালাতে আছে পুৰ্ব্বে নবাবের অধিকার কালে এত ভাগ্যবান ছিল না ইহাতে নিশ্চয় বুঝা যায় যে কেবল এখন বাণিজ্যদ্বারা লোকেরা ভাগ্যবান হইতেছে। ( ২৩ জানুয়ারি ১৮১৯ | ১১ মাঘ ১২২৫ ) তুলার বাণিজ্য –আটার শত চৌদ্দ সালে কোম্পানির বিশসালা বন্দোবস্ত হওয়া অবধি তুলার বাণিজ্য ত্রিগুণ বাড়িয়াছে সে এই হিসাবের দ্বারা দেখা যাইবে । আটার শত চোঁদ সালে এক লক্ষ এগার হাজার গাটি তুলা এই দেশহইতে অন্য দেশে গিয়াছে। আটার শত পোনের সালে আশী হাজার গাটি । এবং আটার শত ষোল সালে এক লক্ষ পয়মটি হাজার গাটি । আটার শত সতের সালে দুই লক্ষ ছাপ্পান্ন হাজার গাটি । আটার শত আটার সালে তিন লক্ষ আটাইশ হাজার গাটি অন্য দেশে গিয়াছে। ( ১৪ এপ্রিল ১৮২১ । ৩ বৈশাখ ১২২৮ ) বাণিজ্য —গত সপ্তাহে সংক্রাস্তি ও শ্রীরামনবমী ও চড়ক ইত্যাদি প্রতিবন্ধকপ্রযুক্ত বাণিজ্যাদি সকল বন্দ হইয়াছে ইহাতে তুলার কিছু ক্রয় বিক্রয় হয় নাই। মোং মৃজাপুরে তুলার মূল্য সাবেক মত আছে। ভগবান গোলাতে সাবেক মূল্যের উপরে বার আনা অধিক মূল্য হইয়াছে। কাছড়া তুলার মূল্য পৌনে চোঁদ ও চৌদ্ধ টাকা হইয়াছে। চীন দেশের বাণিজ্যের কারণ কশা গাটি ১৫০ সাড়ে পোনর টাকা মূল্যে খরিদ হইয়াছে। ইংল্পগু দেশের লিবরপুল শহরহইতে এক সওদাগর সাহেব মোং কলিকাতাতে আপন অংশীকে সমাচার লিখিয়াছে যে দুই বৎসরের মধ্যে হিন্দুস্থানহইতে তুলা না পাঠায় যেহেতুক আমেরিকাহইতে পাচ লক্ষ গাটি তুলা ইংল্পণ্ডে আসিতেছে। এবং গত বৎসরহইতে এক লক্ষ গাটি তুলা ইংল্পণ্ডে অধিক আমদানী হইয়াছে। এবং হিন্দুস্তানের তুলাহইতে আমেরিকা দেশের তুলা অত্যুত্তম। কিন্তু মোং কলিকাতা শহরে দুই চারি দিবসের মধ্যে যে মূল্যে তুলা বিক্রয় হইয়াছে এই সমাচার পূর্ব প্রকাশ হইলে তাহাহইতে অল্প মূল্যে বিক্রয় হইত। ( ১৪ এপ্রিল ১৮২১ । ৩ বৈশাখ ১২২৮ ) জিনিস রপ্তানী –মোং কলিকাতাহইতে মার্চ মাসের প্রথম দিন অবধি ৩১ রোজ পৰ্য্যস্ত এই২ দ্রব্য বাহিরে গিয়াছে ।
পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/১৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।