`మె ఆడి সংবাদ পত্রে সেকাল্ডেনৰ কথা কাপড়েরও আমদানি বাড়িয়াছে ১৭৯২ সালে এগার লক্ষ টাকার কাপড় আসিয়াছিল পরে ১৮২২ সালে পয়তাল্লিশ লক্ষ টাকার পশমী কাপড়ের আমদানি হয়। এই আমদানির জুমলা এইরূপে লেখা যায় যে ১৭৯২ সালে ইংল্পগুহইতে এ দেশে সৰ্ব্বস্থদ্ধা সত্তরি লক্ষ টাকার দ্রব্য আমদানি হয় কিন্তু ১৮২২ সালে তিন কোটি সাতচল্লিশ লক্ষ টাকার দ্রব্য আমদানি হয় অর্থাৎ ১৭৯২ সালঅপেক্ষা পাচ গুণ অধিক হইয়াছে রপ্তানিবিষয়ে দেখা যায় যে ১৭৯২ সালে এদেশোৎপন্ন দ্রব্য ইংগ্রওে দুই কোটি চল্লিশ লক্ষ টাকার রপ্তানি হয় কিন্তু ১৮২২ সালে এদেশোৎপন্ন দ্রব্য চারি কোটি টাকার রপ্তানি হয়। ( ৮ জুলাই ১৮২৬ । ২৫ আষাঢ় ১২৩৩ ) ব্ৰহ্মদেশীয় বাণিজ্যদ্রব্য –এই সপ্তাহের গবর্ণমেণ্ট গেজেটদ্বারা ব্ৰহ্মদেশীয়েরদের বাণিজ্যবিষয়ে যে২ সমাচার পাওয়া গিয়াছে তাহা সৰ্ব্বলোকজ্ঞাপনার্থে আমরা প্রকাশ করিতেছি । ব্ৰহ্মদেশে এই২ বস্তু অধিক উৎপন্ন হয় এবং তাহারা আপনারদের ব্যয়োপযুক্ত রাখিয়াও অন্য২ দেশে প্রেরণ করিতে পারে বিশেষতঃ তণ্ডুল তুলা নীল এলাচি গোলমরিচ মুসকবর চিনি সোরা লবণ সেগুণকাষ্ঠ মদিরা মেটা তৈল ডামর সাপনকাষ্ঠ মধু মোম হস্তিদন্ত পদ্মরাগমণি এবং ধাতুর মধ্যে লৌহ তাম্ব সীসা রূপা সোনা সুরমা এবং মারবেল অর্থাৎ শ্বেত প্রস্তর কয়লা ও চুনের পাথর। যাহারা বনহইতে সেগুণ কাষ্ঠ আনে তাহারা কহে যে সেগুণ কাষ্ঠের বন এমত আয়ত যে তাহার প্রায় সীমা করা যায় না এবং তাহাতে এত গাছ আছে যে কখন তাহার অল্পত হইবেক না । সেখানকার চিনি অতি সফেদ ও উত্তম এবং চিনদেশীয়ের তাহা প্রস্তুত করে । যুদ্ধের পূৰ্ব্বে ব্রহ্মদেশীয় বাদশাহ সেই চিনি দেশহইতে বাহিরে লইয়া যাইতে নিষেধ করিয়াছিলেন। ব্রহ্মদেশের দক্ষিণে বিশেষতঃ সালোয়া ও সরাবদি প্রদেশে নীলের উত্তম কৃষি হইতে পারে সেই দেশে নীল গাছ বনের মধ্যে আপনি জন্মে এবং তদেশের লোকেরা আপনারদের ব্যয়ের কারণ কিছু২ নীল প্রস্তুত করে । যখন প্রথম যুদ্ধারম্ভ হইল তখন দুই তিন জন সাহেব লোক সেখানে নীল কুটী করিয়াছিলেন । এবং অন্য২ দেশহইতে এই২ দ্রব্য ব্রহ্মদেশে আসিয়া বিক্রয় হয় বিশেষতঃ বাঙ্গলা ও মন্দ্রাজ ও ইংল্পগুদেশজাত বস্ত্র এবং বিলাতি বনাত ও লৌহ ও লৌহাস্ত্র সীসা পারা সোহাগা গন্ধক সোরা বারুদ বন্দুক চিনি রমসরাপ অফিীম চিনারবাসন এবং ইংল্পগুদেশীয় নানা প্রকার গ্লাস ও নারিকেল ও সুপারি। সেদেশে অল্প দিনের মধ্যে ইংগ্রগুদেশহইতে অধিক বস্ত্রের আমদানি হওয়াতে তত্ত্ব ল্য মন্দ্রাজ বস্ত্রের মূল্য কিঞ্চিৎ নূ্যন হইয়াছে । ব্ৰহ্মদেশের উত্তর সীমাতে চীনদেশীয়েরদের সহিত এবং ব্রহ্মদেশের পূর্বভাগস্থেরদের সহিত ব্ৰহ্মদেশীয়েরদের নানাপ্রকার বাণিজ্য হয় এবং ঐ বাণিজ্যের দুই প্রধান স্থান নিরূপিত আছে প্রথমতঃ চিনারদের সীমার নিকট বালমো নামে এক স্থান দ্বিতীয়তঃ অমরপুরহইতে তিন চারি ক্রোশ আস্তর মিলায়নামক স্থান। ঐ স্থানেতে ব্ৰহ্মশীদেয়রা চীনদেশীয়েরদের সহিত সাক্ষাৎ করিতে
পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/১৯৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।