পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাজ $ఆNరి ক্রয় বিক্রয় অনেক টাকার বায়ন পত্রদ্বারা হয় ইহাতে লোকের অনেক উপকার হয়। পূৰ্ব্বে শুনিয়াছিলাম কলিকাতাতে এই মত এক স্থান হওনের কল্প ছিল এবং শ্ৰীযুত কোম্পানী বাহাদুর খানিক জমীও এই কারণ দিয়াছিলেন এখন শুনা গেল ষে যে স্থানে পূৰ্ব্বে কালেজ ছিল সেই স্থান এই কৰ্ম্মের কারণ ক্রেয়া হইয়াছে এবং ২৯ জুনে সে খোলা যাইবেক । (১৬ জানুয়ারি ১৮১৯ । ৪ মাঘ ১২২৫ ) হাসীল দপ্তরখানা।—কলিকাতার পুরাণ কিল্লার যে অবশিষ্ট ছিল তাহা এখন ভাঙ্গা গিয়াছে এবং সেই স্থানে একটা নূতন হাসীলদপ্তরখানা প্রস্তুত হইবেক তাহার প্রথম পাথর পত্তন করিবার সন্ত্রম কাহার হইবে তাহার নিশ্চয় হয় নাই যেহেতুক ইউরোপীয়েরদের এমত ব্যবহার আছে যে যখন বড় গৃহাদি নিৰ্ম্মাণ হয় তখন যে ব্যক্তি সম্রাস্ত তিনি প্রথম এক ইষ্টক কিম্বা এক প্রস্তর গাথেন। ঐ প্রস্তর এই মাসের মধ্যে গাথা যাইবে এই ঘর হইলে শহরের অভ্যস্ত উপকার হইবে । যে শহরে যাবৎ ভারতবর্ষের বাণিজ্যের বস্তু একত্র হয় এমত মহা শহরে যে ইহার পূর্বে ইহার উপযুক্ত ঘর না ছিল ইহাতে শহরের অতি অসন্ত্রম যেহেতুক কলিকাতার ঐশ্বর্ঘ্যের মূল বাণিজ্য । ( ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৮১৯ । ৩ ফাল্গুন ১২২৫ ) নুতন হাসীল দপ্তরখানা —কল্য চারি ঘণ্টার সময়ে কলিকাতার তাবৎ ইংগ্রণ্ডীয়ের একশ্চেঞ্জ ঘরে একত্র হইয়া সারি২ হইয়া চলিয়া পুরাণ কুঠী পৰ্য্যস্ত গেলেন এবং সেইখানে নূতন হাসীলদপ্তরের ঘরের প্রথম ইষ্টক র্তাহারা গাঁথিলেন এই নূতন হাসীলদপ্তরখানা কলিকাতার ঐশ্বৰ্য্য সদৃশ হইবেক । ( ১২ আগষ্ট ১৮২০ । ২৯ শ্রাবণ ১২২৭ ) নূতন হাসীলের ঘর –মোং কলিকাতায় গঙ্গার তীরে হাসীল দপ্তরের কারণ এক বড় ঘর নূতন প্রস্তুত হইতেছে সে ঘর এইরূপ বড় ও উৎকৃষ্ট হইবে যে শ্ৰীশ্ৰীযুতের ঘর ব্যতিরিক্ত কলিকাতার মধ্যে তেমন ঘর আর প্রায় হয় নাই। সেই ঘরের মধ্যে তাবৎ মাস্থলের জিনিস ধরিবেক এবং রৌদ্রে অথবা বৃষ্টিতে নোকসান হইবেক না এই মত তদবীর হইতেছে। এবং আমরা শুনিতে পাই যে অকুমান বাইশ তেইশ বৎসর হইল এই দেশের মধ্যে জিনিসের মাস্থল আদায় হইত না কেবল বাহিরে জাহাজদ্বারা যে২ জিনিসের আমদানী রপ্তানী হইত তাহারিমাত্র মাস্থল আদায় হইত। এক গ্রামহইতে অন্য গ্রামে জিনিস যাইবার মাস্থল ছিল না। এখন জিনিসের মাস্থলে কোম্পানির অনেক টাকা আদায় হইতেছে। ( ৪ সেপ্টেম্বর ১৮১৯। ২• ভাস্ত্র ১২২৬) জাহাজ –১ সেপ্তম্বর মোং কলিকাতায় নানা জাতিরদের এক শত পচিশ জাহাজ ছিল। গত বৎসরে প্রথম আট মাসে পচাণী জাহাজ জিনিস বোঝাই করিয়া মোং ইংল্পগুহইতে