( ৬ আগষ্ট ১৮২৫ । ২৩ শ্রাবণ ১২৩২ ) ঢাকা —এস্থানে সৰ্ব্ব সাধারণ জরোৎপন্ন হইয়াছে কিন্তু অদ্যাবধি কেবল দেশীয় লোক বিনা অন্তের উপর আক্রমণ করে নাই। প্রথমতঃ সৰ্ব্বাঙ্গ বেদন ও অসহিষ্ণু শিরোবেদনার সহিত জরের প্রারম্ভ হয় কিন্তু তিন চারি দিনের অধিক থাকে না জরত্যাগ হইলেও রোগী অত্যন্ত ক্ষীণ থাকে। সং চং । ( ২৭ ডিসেম্বর ১৮২৮ । ১৪ পৌষ ১২৩৫ ) কালের গতি ।–ওলাউঠার রাজ্য শাসনকালে জরাদি রোগ মহাশয়েরা কুষ্ঠিত হইয়াছিলেন এক্ষণে র্তাহার কিঞ্চিৎ আলস্ত দেখাতে ঐ জরাদি রাজ্য করিতে গাত্ৰোখান করিয়াছেন ইনিও এক্ষণে বড় মন্দ নহেন শ্রুত হওয়া গেল যে অল্প দিনের মধ্যেই অনেককে কাতর করিয়া প্রাণরূপ কর গ্রহণ করিতে বিলক্ষণ নৈপুণ্য প্রকাশ করিতেছেন যাহা হউক এ নিরাশ্রয় প্রজারদিগের উপরে শাসন করিতে কোন রাজাই কম করেন না । সং চং ( ১৩ সেপ্টেম্বর ১৮২৮। ৩০ ভাদ্র ১২৩৫ ) তমোলুক —তমোলুকহইতে আগত পত্রদ্বারা জ্ঞাত হওয়া গেল যে তথায় জররোগ আসিয়া প্রবেশ করণানন্তর বহু জনের কষ্টদায়ক হইয়াছে এবং তত্রস্থ রাজার ছোট রাণীর প্রাণ পক্ষিকে দেহ পিঞ্জরহইতে বাহির করিয়া লইয়াছে তাহাতে বৈদ্য মহাশয়েরা মহাভাবিত হইয়াছেন ও তাহার পরাক্রম খৰ্ব্ব করিতে অশক্ত আছেন । ( ১৬ জানুয়ারি ১৮৩০ । ৪ মাঘ ১২৩৬ ) মুরশিদাবাদ —আমরা এতদেশীয় সম্বাদপত্রদ্বারা অবগত হইলাম যে মুরশিদাবাদে একপ্রকার সর্বসাধারণ জরের প্রাদুর্ভাব হইয়াছে অধিকন্তু ঐ জর অনেক ভাগ্যবন্ত লোককে আক্রমণ করিয়াছে তাহাতে র্তাহারদের পরিজনলোকের শোকসাগরে মগ্ন হইয়াছেন। ( ৩ এপ্রিল ১৮১৯ । ২২ চৈত্র ১২২৫ ) বসন্ত রোগ –এ দেশে এই বৎসর অতিশয় বসন্ত রোগ বৃদ্ধি হইয়া অনেক লোক মরিতেছে যে লোকের টীকা না হইয়াছে এমত অনেক লোক মরিতেছে সেই ভয়ে যে২ লোকের টীকা না ছিল তাহারদেরও টীকা দিতেছে। আমরা শুনিয়াছি যে গত বৎসর ওলাউঠা রোগনিবারণার্থ কলিকাতাস্থ ইংগ্রওঁীয়ের নানাবিধ ঔষধ প্রস্তুত করিয়াছিলেন সেই মত বসন্ত রোগেরও উপায় চেষ্টা করিতেছেন। এই হিন্দুস্থানের মধ্যে আশী নব্বই বৎসর বয়স্ক লোকেরদের হস্তে টীকার চিহ্ন দেখা যায় এবং চন্দ্রপত্তনে অর্থাৎ মান্দরাজে হিন্দুরদের মতাবলম্বী এক গ্রন্থ দেখা গিয়াছে তাহাতেও টীকার বিষয়ে চিকিৎসা লিখিয়াছে ইহাতে
পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/২৪৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।