পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/২৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अन5Tiछ RSS না কিন্তু যদি তাহারা গ্রামে২ যাইত তবে ইতর লোকের অনেকের উপকার হইত কিন্তু কলিকাতার মধ্যে যদি এমত এক হসপিতাল করিয়া দুই চারি জন ইংগ্লণ্ডীয় ডাকতর ও তাহারদিগের নীচে শতাবধি বাঙ্গালি চিকিৎসক রাখিয়া রোগীর চিকিৎসা দ্বারা চিকিৎসা শিখাইত তবে এতদেশের লোকের উপকার হইত এবং তাহারদিগকে যৎকিঞ্চিৎ দরমাহা দিলে তাহারা পাচ ছয় বৎসরপর্য্যন্ত সেই খানে থাকিয়া চিকিৎসাভ্যাস করিয়ু পরে ঐ আপন ব্যবসায় করিত এখন যেমত অজ্ঞান চিকিৎসকেরা ব্যবসায়দ্বারা কালক্ষেপণ করিতেছে এই মতে তাহারাও কালক্ষেপণ করিত কিন্তু তাহাতে লোকের অনেক উপকার হইত গত বৎসরে ওলাউঠ রোগে কত লোক মরিল তাহার সংখ্যা নাই কিন্তু বুঝা যায় যদি গ্রামে২ এমত জ্ঞানবান চিকিৎসক থাকিত তবে অনেক বাচিত । ইহা নিশ্চয় জানা আছে যে২ গ্রামে গোরা লোক ছিল না সেই২ গ্রামে অধিক লোক মরিয়াছে যে২ গ্রামের নিকট গোরা লোক থাকিয়া ঔষধি দিয়াছে সে গ্রামে অনেক লোক রক্ষা পাইয়াছে। ( ২৭ নবেম্বর ১৮২৪ । ১৩ অগ্রহায়ণ ১২৩১ ) চক্ষুরোগের চিকিৎসালয় –সৰ্ব্বহিতাভিলাষি পরমকারুণিক শ্ৰীশ্ৰীযুত কোম্পানি বহাদর এতদ্দেশীয় চক্ষুরোগগ্রস্ত লোকেরদের রোগশাস্তির কারণ চক্ষুরোগ চিকিৎসায় অতিবিজ্ঞ শ্ৰীযুত এজেটন সাহেবকে এ দেশে পাঠাইয়াছেন । এবং শ্ৰীশ্ৰীযুত বড় সাহেব ১৮ নবেম্বর তারিখে তচ্চিকিৎসালয় স্থাপন করিতে আজ্ঞা দিয়াছেন । এই চিকিৎসালয়ে যত ব্যয় হইবেক সে সকল কোম্পানি বহাদর দিবেন। চিকিৎসালয়ের কারণ ও চিকিৎসক সাহেবের বাসার কারণ কলিকাতা নগরের মধ্যে স্থান নিরূপণ করা যাইবেক । চিকিৎসক সাহেব স্বপদবৃত্তিব্যতিরেকে এই কৰ্ম্মের কারণ পাচ শত টাকা করিয়া মাসিক পাইবেন এবং ঔষধি ও বস্ত্রাদির কারণ প্রতি মাস এক শত পচিশ টাকা এতদ্ভিন্ন স্বোদর পূরণে অক্ষম প্রত্যেক রোগির কারণ প্রতিদিন আড়াই আনা করিয়া পাইবেন। প্রধান চিকিৎসার কারণ সপ্তাহের মধ্যে দুই দিবস নিরূপিত হইবেক । ইহার পর ইংল্পগুহইতে যত চিকিৎসক সাহেবের এদেশে আসিবেন তাহারা ঐ দুই দিন সে স্থানে যাইবেন । এবং এতদেশে কোম্পানি বহাদরের সৈন্যের চিকিৎসক সাহেবের তচ্চিকিৎসায় পারদর্শী হইবার কারণ অবকাশক্রমে ঐ দুই দিন অবশুই এই চিকিৎসালয়ে গিয়া তৎকৰ্ম্ম শিক্ষা করিবেন। ( ৪ জুন ১৮২৫ । ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১২৩২ ) নেটিব হাসপাতাল অর্থাৎ এতদেশের লোকের নিমিত্ত চিকিৎসালয়।...এ বিস্তৃত মহানগর কলিকাতার মধ্যে বাঙ্গালিটোলায় হাসপাতাল ও ঔষধের দোকান নাই এই