ধৰ্ম্মকৃত্য ( ১১ জুলাই ১৮১৮ । ২৮ আষাঢ় ১২২৫ ) রথ – ২২ রবিবার রথযাত্রা হইল তাহাতে মহেশের রথ অতি বড় এত বড় রথ এতদ্দেশে নাই লোকযাত্রাও অতি বড় হয় এই রূপ প্রতি বৎসর রথ চলিতেছে কিন্তু এ বৎসরে রথ চলন স্থানে নুতন রাস্থ হওনে অধিক মুত্তিক উঠিয়াছে এবং অতিশয় বৃষ্টিপ্রযুক্ত কর্দম হইয়াছে তাহাতে রথ কতক দূর আসিয়া রখের চক্ৰ কদমে মগ্ন হইল কোন প্রকারেও লোকেরা উঠাইতে পারিল না শেষে লোকযাত্রা ভঙ্গ হইল ইহাতে রথ চলিল না। তাহাতে লোকেরা আপন২ বুদ্ধি মত নানা প্রকার কহিতে লাগিল কেহ কহে অধিকারীরা অশুচি তাহারা স্পর্শ করিয়াছে। কেহ কহে ঠাকুরের প্রতিবর্ষ সোনার হাত আসিত এ বৎসর রূপার হাত আসিয়াছে। আর কেহ কহিল যে উড়িষ্যাতে রথ চলে নাই অতএব এখানেও চলিল না । যে হউক রথ না চলাতে অনেকের অনেক ক্ষতি হইল যে ব্যক্তি বাজার ইজারা করিল এবং যে ব্যক্তি ঠাকুরের মন্দির ইজারা করিল তাহারদিগের লাভ কিছুমাত্র হইল না এবং দোকানি পসারী কলিকাতাহইতে এবং অন্য২ স্থানহইতে আসিয়াছে তাহারদিগেরও সামগ্ৰী বিক্রয় না হওয়াতে যথোচিত ক্ষতি হইল। যখন নিতান্ত রথ না চলিল তথম ২৪ আষাঢ় মঙ্গলবার বিকালে জগন্নাথ দেবকে রথহইতে নামাইল ও রাধা বহলব ঠাকুরের বাটী শ্ৰীমন্দিরে লইয়া রাথিল ও রিথ থোলাতে লোক যাত্রার অভাব প্রযুক্ত জিনিস অতি শস্ত হইয়াছে অধিক কি লিখিব ১ পয়সাতে আনারস চারিটা পাওয়া যাইতেছে । ( ১৯ জুন ১৮১৯ । ৬ আষাঢ় ১২২৬ ) রথযাত্র। —১১ আষাঢ় ২৪ জুন বৃহস্পতিবার রথযাত্রা হইবেক । অনেক ২ স্থানে রথযাত্রা হইয়া থাকে কিন্তু তাহার মধ্যে জগন্নাথক্ষেত্রে রথযাত্রাতে যে রূপ সমারোহ ও লোক যাত্রা হয় মোং মাহেশের রথযাত্রাতে তাহার বিস্তর নূ্যন নহে এখানে প্রথম দিনে অকুমান এক দুই লক্ষ লোক দর্শনার্থে আইসে এবং প্রথম রথ অবধি শেষ রথপৰ্য্যস্ত নয় দিন জগন্নাথ দেব মোং বল্লভপুরে রাধাবল্লভ দেবের ঘরে থাকেন তাহার নাম গুঞ্জবাড়ী ঐ নয় দিন মাহেশ গ্রামাবধি বল্লভপুরপর্য্যস্ত নানাপ্রকার দোকান পসার বসে এবং সেখানে বিস্তর২ ক্রয় বিক্রয় হয় । ইহার বিশেষ২ কত লিখা যাইবেক । এমত রথযাত্রার সমারোহ জগন্নাথক্ষেত্র ব্যতিরিক্ত অন্যত্র কুত্ৰাপি নাই । এবং ঐ যাত্রার সময়ে অনেক স্থান হইতে অনেক২ লোক আসিয়৷ জুয়া খেলা
পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/২৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।