ধৰ্ম্ম ఫిహ్రిఫె ঘড়া ও তৈল ও চেলী ও মটরাদার শাড়ী ও অসংখ্য মসলা ও ওগয়রহ ও এক২ পিতলের থাল প্রত্যেকে সকলকে দেওয়া গেল। এবং আমলা ওগয়রহেরদিগকে পোশাক শাল ও দোশালা ও যথাযোগ্য ভূষণ দিয়াছেন এবং গুণবান লোকের গুণ বিবেচনা করিয়া ভদ্যোগ্য পারিতোষিক দিয়াছেন দেশস্থ বিপ্ৰ সকলের ভূষ হইয়াছে ইহাতেই এ কাৰ্য্যে সকলেই যথেষ্ট অমুরাগ করিতেছেন আপামর সাধারণ লোক নানাবিধ ভক্ষণ সামগ্রীতে তৃপ্ত হইয়াছে এ কৰ্ম্মের অধ্যক্ষ শ্ৰীযুত ব্ৰজানন্দ বাবু নিযুক্ত হওয়াতে কৰ্ম্মের সকল স্থধারা হইয়াছে বাবুর শ্রমের পরিসীমা নাই বাবুর বৈদগ্ধ ও তদবিরে সকল লোক তুষ্ট হইয়াছে। শ্ৰীযুত কোঙর হরিনাথ রায় বাহাদুরের বিবাহ যেরূপ হইয়াছে ইহাহইতে অধিক হইলেও আশ্চর্য্যের বিষয় নহে যেহেতুক তিনি কান্ত বাবুর পৌত্র ও রাজা লোকনাথ রায় বাহাদুরের পুত্র নিজে অতিস্থশীল ও গুণবান ও দাতা ও অনুগতপ্রতিপালক এত অল্প বয়সে এত গুণ হওয়া অন্তের দুর্ঘট । { ১২ ফেব্রুয়ারি ১৮২০ । ১ ফণম্ভন ১২২৬ ) বিবাহ –গত শুক্রবার ৩০ মাঘ ১১ ফেব্রুঅারি তারিখে শ্ৰীযুত বাবু রামরত্ব মল্লিক আপন পুত্রের বিবাহ যেরূপ দিয়াছেন এমন বিবাহ শহর কলিকাতায় কেহ কখনও দেন নাই । এই বিবাহে যে২ রূপ সমারোহ হইয়াছে ইহাতে অনুমান হয় যে সাত আট লক্ষ টাকার ব্যয় ব্যতিরেকে এমত মহাঘট হইতে পারে না । ইহার বিশেষ বিবরণ পরে ছাপান যাইবেক । সন ১৮১২ সালে মোং দিল্লীতে এই প্রকার শ্ৰীশ্ৰীযুত মহারাজ মহলাররাও হোলকারের বকসী ভবানীঙ্কররাও নামে এক জন মহারাষ্ট্রের বিবাহ হইয়াছিল তাহাতে এগার লক্ষ টাকা খরচ হইয়াছিল সে বিবাহের অধ্যক্ষ প্রধান২ ইংগ্রগুীয় সাহেবেরা ছিলেন । এই বিবাহও তাহাহইতে নুনি বড় নহে যেহেতুক সকল লোকেই এ বিবাহের প্রশংসা করিতেছে ও কহিতেছে যে এমন বিবাহ আমরা দেখি নাই । ( ১২ ফেব্রুয়ারি ১৮২০ । ১ ফাল্গুন ১২২৬ ) বিবাহের ইস্তাহার —৭ ফেব্রুআরি শ্ৰীযুত বাবু রামদুলাল দে সরকার গবরণরমেস্ত গেজেটে ইস্তাহার দিয়াছেন যে তিনি আপন দুই পুত্রের বিবাহ ৭ ও ১১ ফাল্গুণ তারিখে দিবেন তাহাতে ইংগ্লণ্ডীয় সাহেবেরদের কারণ ১২ ফাল্গুণ এই দুই দিন নিরূপণ করিয়াছেন যে তাহারা ঐ দুই দিনে তাহার শিমলের বাটীতে গিয়া নাচপ্রভৃতি দেখেন ও খান করেন। এবং আরব ও মোগল ও হিন্দু ভাগ্যবান লোকেরদের কারণ ১৩।১৪।১৫।১৬ তারিখ নিরূপিত হইয়াছে তাহারাও উপযুক্ত মত আমোদ প্রমোদ করিবেন।
পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/৩০৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।