পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/৩০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇకరి ংবাদ পত্রে সেনকালেৰ কথা ( ৪ আগষ্ট ১৮২১ । ২১ শ্রাবণ ১২২৮ ) ত্রিপুরা রাজার অভিষেক ॥—ত্রিপুরা ও খুকি রাজ্যের রাজবংশীয় শ্ৰীযুত রামগঙ্গা মাণিক্য ইংগ্রগুীয় রাজশাসনকৰ্ত্তারদের নিকটে ঐ রাজ্যের রাজত্ব বিষয়ে দরখাস্ত করিয়াছিলেন তাহাতে ঐ শাসনকৰ্ত্তারা সে বিষয় তদারক করিয়া তাহাকে রাজসিংহাসনে অভিষিক্ত করিতে জিলা ত্রিপুরার জজ ও মেজেস্ত্রিড সাহেবেরদের প্রতি আজ্ঞা করিয়াছিলেন । তাহাতে সেখানকার ব্রাহ্মণ পণ্ডিতেরা ১২২৮ শালের ৩০ আষাঢ় অর্থাৎ ১২ জুলাই তারিখে প্রাতঃকালের দশ ঘণ্টার পরে দুই প্রহর এক ঘণ্টা বেলাপৰ্য্যন্ত উত্তম সময় নির্ণয় করিয়া দিলেন। তাহাতে ৮ তারিখে আরম্ভ করিয়া রাজবাটী নিকটবর্তি আগেরতলাতে নিমন্ত্রিত লোকেরদের বাসার কারণ ও শ্ৰীযুত জজ সাহেবপ্রভৃতির বাসার কারণ উপযুক্ত ঘর উঠান গেল। এবং নানাপ্রকারে নগরশোভা বাহুল্য করা গেল । পরে ১২ তারিখে প্রাতঃকালে ঐ স্থানে সৈন্য ও সামন্ত ও অমাত্য ও ভূত্য ও ইষ্ট বন্ধু কুটুম্ব সকলে একত্র হইল । # অনন্তর শ্ৰীযুত জজ সাহেব ও শ্ৰীযুত মেজিস্ত্রিড সাহেব সেখানে অধিষ্ঠিত হই নানাবিধ বাদ্য হইতে লাগিল এবং সেই স্থান অবধি রাজবাটপর্য্যস্ত অতিবড় ৩০ ত্রিশ স্বসঙ্গ হস্তীর উপরে ডঙ্কা হইতে লাগিল । পরে তাবৎ লোকের সহিত সাহেবের রাজবাটীতে গমনপূর্বক আমলা লোকেরদের সহিত শিষ্ট সম্ভাষা করিলেন ও আমলারা তাহারদিগকে সমাদরপূর্বক লইয়া দেওয়ানখানাতে বসাইল । রাজা সমাচার পাইয়া সাহেবেরদের নিকটে আইলেন। সাহেবরা রূপ্যময় পাত্রে খীলাত রাখিয়া রাজাকে দিলেন। পরে রাজা ঐ থীলtত আপন উজীরের হাতে দিয়া তাহার সহিত স্থানাস্তরে গিয়া ঐ খীলাত পরিধান করিলেন ও পাগ বান্ধিলেন এবং অপূৰ্ব্ব হীরকমণ্ডিত বহুমূল্য তলবার বক্ষস্থলে বান্ধিলেন। পরে নয় জন ব্রাহ্মণ পণ্ডিতকে সঙ্গে করিয়া সিংহাসনের নিকটে উপস্থিত হইলেন অন্য২ লোক অনেক সঙ্গে গেল। রাজা সিংহাসনের উত্তর ভাগে দাড়াইলেন তৎ কালে ব্রাহ্মণের অনেক শান্তিবাক্য পাঠ করিলেন ও রাজার শরীরে গঙ্গা জলের অভু্যক্ষণ করিলেন পরে সিংহাসনের চতুদিকে শুভ্র বস্ত্র বিছান গেল রাজা তিনবার সিংহাসন প্রদক্ষিণ করিলে ব্রাহ্মণের পুনঃ২ শাস্তি করিলেন । পরে রাজা সিংহাসনারোহণ করিলেন তৎকালেও ব্রাহ্মণের গঙ্গাজলাভূক্ষণ করিলেন এবং রাজা সাহেব লোকের সহিত পরস্পর শিষ্ট সম্ভাষণ করিলেন পরে আমলার রাজাজ্ঞাতুসারে যুবরাজের বস্ত্র আনাইয়া রাজার ভ্রাতাকে পরিধান করাইল ও বড় ঠাকুরের বস্ত্র আনিয়া রাজার পুত্রকে পরিহিত করিল। তাহারা বস্ত্রাদি পরিধান করিয়া রাজাকে নজর দিলেন এবং অধিকারস্থ প্রধান২ লোক ও আমলা লোকেরাও নজর দিল ও পুরাতন যে কামান ছিল তাহাতে তোপ ছাড়িল এবং রাজা তৎকালে আপন নামে সিঙ্কা জারী করিলেন। যে সিংহাসনে রাজা বসিলেন সে সিংহাসন হস্তি দন্তে নিৰ্ম্মিত ও স্বর্ণে মণ্ডিত তাহার উপরে বহুমূল্য বস্ত্র তাহার চতুর্দিকে অকৃত্রিম স্বর্ণ রচিত ঝালর ।