أميع ধম্ম ২৭১ পরে যথাযোগ্য সম্ভাষাদ্বারা সাহেবেরদিগকে বিদায় করিয়া রাজা আপন কৰ্ম্মে নিযুক্ত হইলেন। সেই দিনে সৰ্ব্বত্র আজ্ঞা প্রকাশ করিলেন যে রাজা ও যুবরাজ ও বড় ঠাকুর এই সকল খ্যাতি ব্যতিরিক্ত অন্য কোন নাম কেহ কহিবে না ও লিখনাদিতে লিখিবে না । রাজা সেই দিনে আপন পুরবাসি লোকেরদিগকে পারিতোষিক দিলেন ও তাবৎ লোককে উত্তম মত ভোজনাদি করাইলেন ও সায়ংকালে রাজা সাহেবেরদের গৃহে গিয়া তাহারদিগকে নিমন্ত্ৰণ করিলেন তাহাতে রাত্রিযোগে উত্তম খান হইল ও নানাবিধ নৃত্য গানাদি অনেক আমোদ হইল । ( ১৯ নবেম্বর ১৮২১ । ২৬ কাৰ্ত্তিক ১২২৮ ) আশ্চৰ্য্য বিবাহ ॥—মোকাম বৰ্দ্ধমানের নিকট এক গ্রামে এক ব্রাহ্মণ আপন কন্যার বিবাহ দিতে এই পণ করিল ষে যে ব্যক্তি চারি শত টাকা পণ দিয়া আর২ খরচ করিতে পারিবেক তাহার সহিত এই কন্যার বিবাহ দিব ইহাতে যে অপারক হইবেক তাহার সহিত কথা কহিব না এই পণে কতক দিন গত হইলে কন্যা প্রায় ষোড়শবর্ষ বয়স্ক হইল কিন্তু তিনি তাহাতে পরপর পণের বাহুল্য ব্যতিরেকে নূন করিতে স্বীকার করেন না স্বতরাং কন্যারও বিবাহ হয় না। পরে তাহার গ্রামের তিন চারি ক্রোশ অস্তরবর্তি এক সান্ন চাকুরিয়া ব্রাহ্মণের স্ত্রী বিয়োগ হইলে সে ব্যক্তি ঘটক আনাইয়া কহিল যে আমি বিবাহ করিব উপযুক্ত কন্যা একটা অন্বেষণ করিয়া শীঘ্র আমার বিবাহ দেও টাকা দিতে আমি কাতর নই। পরে ঘটক কহিলেন যদি চারি শত টাকা দিতে পার তবে অমুক গ্রামে অমুকের কন্যার সহিত বিবাহ হইতে পারে আর সে কন্যাও উপযুক্ত বটে। তাহাতে ঐ ব্রাহ্মণ ও ঘটক উভয়েই পরদিন প্রাতঃকালে সেই ব্রাহ্মণের বাটতে গিয়া উপস্থিত হইল। এবং বিবাহের বিষয় পণাপণ স্থির হইয়া কন্যাকৰ্ত্ত কহিলেন আমি বর দেখিব তাহাতে পাত্ৰ কহিল যে আমি বর এই দেখ। বর দেখিয়া তিনি छूटे श्रल বর কহিলেন তোমার কন্যা কোথায় আমিও কন্যা দেখিব। পরে বক্ষিণ ** দেখাইলে ঐ কন্যা ও বর উভয় সন্দর্শনে স্থতরাং উভয়ের মনোমিলন হইল। পরে কন্যাকৰ্ত্ত কহিলেন তোমরা অদ্য থাকহ রাত্রিতে আত্মীয় লোক ডাকাইয়া পত্রাদি করিব। ইহা কহিয়া তিনি কৰ্ম্মাস্তরে গেলেন। বরপাত্র স্নানার্থ তাহার বাটীর খিড়কির পুষ্করিণীতে গেলেন। ইহ দেখিয়া কস্তাও ঐ ঘাটে গিয়া বরকে কহিল যে তুমি ওঘাটে চল আমি তোমাকে কিছু কথা কহিব তাহাতে সে ব্যক্তি ঐ বাক্যে অমৃতাভিষিক্ত হইয়া সেই ঘাটে গেল । এবং কস্তাও স্নানের চ্ছলে সেখানে গিয় তাহাকে কহিল যে আমি কন্যা কিন্তু নিলজ হইয়া কহিতে হইল ইহাতে তুমি আমাকে বিরূপ ভাবিও না যেহেতুক আমার পিতার ধৰ্ম্মজ্ঞান নাই কেবল টাকা লইতে অস্তি ভংগৰ অতএব যদি তুমি পচিশ টাকা খরচ করিতে পার
পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/৩০৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।