পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/৩১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মংবাদ পত্রে সেকালের কথা فع بسی:tیابع হইতে পারে যে কেহ২ ইহার মূল স্বজ্ঞাত না হইয়া থাকিবেন অতএব গত সোমবারের গবরনরমেন্ট গেজেটহইতে তাহার চুম্বক লইয়া আমরা প্রকাশ করিতেছি। এই উৎসব মহম্মদের পৌত্র কালিফালীর ফতেমা নামী স্ত্রীজাত পুত্র হাসন হোসেনের মরণের স্মরণার্থে স্থাপিত হইয়াছে। পৈগম্বরের পৌত্রেরা পৈগম্বরের সগোত্রজপ্রযুক্ত এবং র্তাহার ক্রেগড়ে দোলিত হওয়াপ্রযুক্ত সৰ্ব্ব লোককতৃক বিশেষ সম্মান ও আদরের পাত্র ছিলেন । ৬৮০ সালে দমাসকসের নির্দয় রাজা য়েজীদের প্রতিকূলে আপনার দাওয়া সংস্থাপনের উদ্যোগে হোসেন মারা পড়িলেন । এই বধে মুসলমান মতাবলম্বিরদের এক বিচ্ছেদ হইল এবং তৎকালাবধি মুসলমান মতাবলম্বির দুই দলেতে বিভক্ত হইয়াছে প্রথমতঃ সনি তাহারা আপনারদিগকে মুসলমানেরদের মধ্যে দক্ষিণাচারী জ্ঞান করে দ্বিতীয়তঃ সীয় অর্থাৎ আলী ও তাহার দুই পুত্ৰ হাসেন হোসেনের মতানুযায়ী হোসেন আপনার স্ত্রীকতৃক হত হন তিনি য়েজীদের পরামর্শে র্তাহাকে বিষ প্রদান করেন । # দুই ভ্রাতার যে উৎসব তাহা প্রায় দশ দিন ব্যাপিয়া থাকে প্রত্যেক দিবসের স্বতন্ত্র২ পদ্ধতি অাছে তাহা উত্তম ভাষায় রচিত এবং তাহাতে উভয় ভ্রাতার যন্ত্রণা অতিকোমলক্সপে বণিত আছে । পারসীদেশেতে এ উৎসবে যেরূপ ব্যবহার আছে তাহার বিপরীত এই উৎসবের রীতি বঙ্গ দেশের সর্বত্র প্রচার হয় ৷ তদেশে তাহ দেশঘটিত শোকস্থচক উৎসবের ন্যায় দৃষ্ট হয়। কলিকাতায় তামাসার স্তায় দেখা যায় এতদেশে মুসলমানেরা আপনারদের সামান্ত পরিচ্ছদেতে পরিচ্ছন্ন হইয়া ইতস্ততে বাদ্য ও ধ্বজা লইয়া ভ্রমণ করে পারসীদেশে প্রত্যেক ব্যক্তি ধনবান হউক কি নাই বা হউক শোকসুচক বস্ত্র পরিধান করে । - এই উৎসবের শেষ সমারোহ কলিকাতাস্থ আগাকরবুলাই মহম্মদ প্রতিরাত্রিতে ধৰ্ম্মানুষ্ঠান গৃহে উভয় ভ্রাতার সান্ধৎসরিক উৎসব করণার্থে কতক পারসী দেশস্থ লোকেরদিগকে সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন । তদগুহের গন্তব্য পথ মশালেতে স্থশোভিত হইয়াছিল এবং যে সাহেব ও বিবি লোক সেই উৎসব দর্শনার্থে গমন করিয়াছিলেন তাহারদের গাড়িতে পরিপূর্ণ ছিল । ইউরোপ জাতীয়ের এই উৎসবে উপস্থিত হইতে যে অনুমতি পান তাহার এই কারণ জনশ্রুতিতে আছে যে য়েজীদ যৎসময়ে উভয় ভ্রাতাকে বধকরণের মনস্থ করিয়াছিলেন তৎ সময়ে তাহার দরবারে দৈবাৎ উপস্থিত এক খ্ৰীষ্টীয়ান উকীল তাহারদের প্রাণ রক্ষার বিষয়ে - বিস্তর মিনতি করিলেন । ( ১১ জুলাই ১৮১৮ । ২৮ আষাঢ় ১২২৫ ) সহমরণ –কএক দিবস হইল দুই জন ইংগ্রগুীয় কলিকাতাহইতে পশ্চিম যাইতেছিল কোননগর পর্যন্ত আসিয়া সেইখানে অনেক লোক একত্র দেখিয়া নৌকাহইতে নামিয়া দেখিল যে এক জন যোগীর স্ত্রী সহমরণ যাইবে তাহার উদ্যোগ করিতেছে। পরে দেখিল একটা গৰ্ত্ত করিয়া তাহার মধ্যে মৃত পুরুষকে রাখিল পরে ঐ স্ত্রী সেই গৰ্ত্তমধ্যে দাড়াইল তাহার উনিশ