বিবিধ Nපදා-~එං ৰাইতে পারেন না অতএব গঙ্গাসাগরে বসতি হইলে এতদেশীয় লোকেরা তথা গিয়া অনায়াসে রোগমুক্ত হইয়া আসিতে পারেন । ( ১৯ সেপ্টেম্বর ১৮১৮ । ৪ অশ্বিন ১২২৫ ) গঙ্গাসাগর -গঙ্গাসাগর উপদ্বীপের বন কাটিয়া বসতি করাইলে উপকার এই। প্রথম সেখানে অত্যুত্তম প্রকার তুলা জন্মিতে পারে । * দ্বিতীয়। জাহাজের কারণ যে২ বস্তু প্রয়োজনযোগ্য হয় সে বস্তু সেখানে থাকে ও ষে জাহাজ সমুদ্রের মধ্যে ভগ্নাদি হইয়া থাকে তাহ। সেখানে মেরামত হয় কলিকাত৷ অতিদূর অতএব সেখানে না আইসে । তৃতীয়। যে সকল জীবজন্তু ইংগ্রণ্ডে লইয়া যাইতে হয় তাহা কলিকাতাহইতে লইয়া গেলে পথে অনেক অপচয় হয় অতএব সেখানে ক্রমে২ সঞ্চয় করিয়া প্রয়োজনানুসারে জাহাজে উঠাইতে হইলে এত অপচয় হয় না । চতুর্থ। সেখানে এক চিকিৎসালয় হয় এখানকার লোকেরা অস্থস্থ হইলে তথা গিয়া রোগমুক্ত হয় যেহেতুক সেখানকার সমুদ্রের বায়ু সুখদায়ক । এতদেশীয় লোকেরদের রোগ হইলে জাহাজে অন্যত্র গিয়া অরোগী হইতে পারেন না যেহেতুক তাহারদের এত ধন নাই ও এত অবকাশ নাই । ( ২৬ সেপ্টেম্বর ১৮১৮ । ১১ আশ্বিন ১২২৫ ) গঙ্গাসাগর উপদ্বীপ –গঙ্গাসাগরে বন কাটাইয়া পত্তন করিবার কারণ এক সম্প্রদায় স্থির হইয়াছে এবং ইহার ব্যয়ের কারণ আড়াই শত ভাগ হইয়াছে প্রতিভাগ এক হাজার টাকা করিয়া হইবেক । কোম্পানি পচিশ বৎসরপর্য্যস্ত বিনা রাজস্বে তাহারদিগকে দিবেন । এবং আমরা দেখিয়াছি মঙ্গলবারে এক শত তের ভাগ সহী হইয়াছে ইহার মধ্যে যে বাঙ্গালি লোকেরা সহী করিয়াছেন ভtহার এই২ শ্ৰীযুত রাধামাধব বন্দ্যোপাধ্যায় ৪ ভাগ সহা করিয়াছেন । শ্ৰীযুত রামদুলাল দে ৫ ভাগ । ত্রযুত কালীশঙ্কর ঘোষাল ১ ভাগ। শ্ৰীযুত কালীপ্রসাদ ঘোষ ১ ভাগ । শ্ৰীযুত রাইচরণ রায় ১ ভাগ। শ্ৰীযুত মহারাজ রাজকৃষ্ণ বাহাদুর ৫ ভাগ । শ্ৰীযুত গুরুপ্রসাদ বস্ত্র ৫ ভাগ। শ্ৰীযুত রামদুলাল দে মারফতে অন্ত কোন ব্যক্তি ২ ভাগ । শ্ৰীযুত রসময় দত্ত ১ ভাগ। শ্ৰীযুত শিবনারায়ণ রায় ১ ভাগ । শ্ৰীযুত বৈদ্যনাথ মুখোপাধ্যায় ১ ভাগ সহী করিয়াছেন । ( ১৯ অক্টোবর ১৮১৮ । ১৮ আশ্বিন ১২২৫ ) গঙ্গাসাগর –শেষ সমাচার দর্পণ ছাপা করিলে পর আমরা শুনিতে পাইলাম যে আর২ ভাগ সহী হইয়াছে এবং এখন আমরা শুনিতেছি যে এই দ্বীপ পরিষ্কার হইলে প্রথম তুলার চাস করা যাইবে এবং সেখানে জাহাজের নিমিত্ত সকল সরঞ্জাম ও খাদ্যদ্রব্যের দোকান ও
পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/৩৯১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।