বিবিধ ماه مه و یا যে ভূমি বন কাটাইয়া পরিষ্কৃত হইয়াছিল তাহাতে গত বৎসর ধান্ত বীজ রোপণ করা গিয়াছিল। এখন সে২ ভূমিতে তামাকু ও তুলা ও গাছ মরিচ ও বাৰ্ত্তাকু ও তরমুজ ও রামতরাইপ্রভৃতি মুন্দর জন্মিতেছে। এবং নারিকেল বৃক্ষও অনেক উৎপন্ন হইতেছে। সেখানে লবণাস্তু ব্যতিরেকে মিষ্ট জল দুলভ ছিল তৎপ্রযুক্ত সেখানে অনেক পুষ্করিণী কাটান গিয়াছে তাহতে এই বর্ষ। প্রভাতে মিষ্ট জলের অভাব থাকিবে না। এতদ্দেশীয় এক ব্যক্তি সেখানে বন কাটাইয়া স্থান পরিষ্কৃত করিয়াছে এবং তাহাতে মঘ দেশীয়েরদিগকে বসতি করাইয়াছে যেহেতুক মঘের অধিক পরিশ্রম করিতে পারে ও তাহারদের জাতি বিবেচনা নাই অতএব তাহারদেরহইতে অধিক দুষ্কর কৰ্ম্ম হইতে পারে । সৰ্ব্বমুদ্ধ গঙ্গাসাগরে এক লক্ষ আশী হাজার বিঘা ভূমি আছে তাহার মধ্যে নয় হাজার বিঘা ভূমি পরিষ্কার হইয়াছে অর্থাৎ বিংশতি অংশের এক অংশ। যাহারা স্বতন্ত্র২ ভূমি লইয়া বন কাটাইতেছে তাহারদের কৰ্ম্ম শীঘ্ৰ চলিতেছে । ( ৪ সেপ্টেম্বর ১৮১৯ । ২০ ভান্দ্র ১২২৬ ) গঙ্গাসাগর উপদ্বীপ –গত বুধবারে ১ সেপ্তম্বর গঙ্গাসাগর উপদ্বীপের সম্প্রদায় একত্র হইলেন ও গত বৎসরের সকল বিবরণ শুনিলেন ও ঐ সম্প্রদায়ের অস্তঃপাতী যে চারি জন কৰ্ম্মকৰ্ত্ত ছিলেন সে চারি জনের বদলিতে অন্য চারি জন প্রবৃত্ত হইলেন সে চারি জনের মধ্যে তিন জন ইংগ্রগুীয় এক জন এতদ্ধেশীয় তিনি শ্ৰীযুত রাজা গোপীমোহন দেব তাহার বদলে তাহার পুত্ৰ শ্ৰীযুত বাবু রাধাকান্ত দেব তাহার এক কৰ্ম্মকর্তা হইয়াছেন। গঙ্গাসাগর উপদ্বীপের বন কাটিয়া সে স্থান স্বন্দর প্রস্তুত হইতেছে শ্ৰীযুত জন পামর সাহেব ঐ উপদ্বীপের দক্ষিণ ভাগ সমুদায় বিশ বৎসরের কারণ বিনা করে ইজারা করিয়া লইয়াছেন ও এই করার করিয়াছেন যে এই বিশ বৎসরের মধ্যে গঙ্গাসাগরে লোকবসতি করাইব ও নানা ক্ষেত্রে শস্যাদি উৎপন্ন করাইব । এবং শ্ৰীযুত রাজা গোপীমোহন দেব ও শ্ৰীযুত বাৰু হরিমোহন ঠাকুর এই দুই জনে মিলিয়া ঐ করারে সেখানকার উত্তর পশ্চিম কোণে গঙ্গার তীরে আড়াই ক্রোশপর্য্যস্ত ভূমি লইয়াছেন । এই২ সকল কারণ দেখিয়া আমারদের এমত ভরসা হয় যে গঙ্গাসাগর উপদ্বীপ অতিশাস্ত্র পুনৰ্ব্বার মন্থষ্যেরদের অধিকারে আসিবে । ( ১৫ জানুয়ারি ১৮২৯ । ৩ মাঘ ১২২৬ } গঙ্গাসাগর উপদ্বীপ —আমরা শুনিতেছি যে গঙ্গাসাগরের বন কাটাইবার যে উদ্যোগ হইতেছে তাহার ফল এখন দেখা যাইতেছে যেহেতুক গত বৎসর পাঁচ শত মজুর লোক তিন
পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/৩৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।