পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/৪২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yడిt=3 মংবাদ পত্রে চেনকালেৰ কথা কলিকাতাতে পারস্য ভাষায় সাপ তাহিক সম্বাদ । ১ জামিজাহাকুমা শ্ৰীযুত হরিহরদত্ত বাঙ্গালা ভাষায় প্রকাশ হয়। ১ বঙ্গদূত Editor শ্ৰীযুত নীলরত্নহালদার ২ সমাচারচন্দ্রিকা শ্ৰীযুত ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৩ সস্বাদ কৌমুদী শ্ৰযুত হলধর বস্থ ৪ সম্বাদ তিমিরনাশক শ্ৰীযুত কৃষ্ণমোহন দাস এতদ্ভিন্ন ইংরাজিতে মাসিক ও ত্রৈমাসিক ও সাম্বৎসরিক অনেক প্রকার সংবাদ সংঘটিত পুস্তক ছাপা হইয়া প্রতি নিয়ত প্রকাশ পায় এবং ক্ষুদ্র যন্ত্রালয়ে অনেকগনেক গ্রন্থ ইংরাজি পারস্য ও দেরনগর ও বাঙ্গালা অক্ষরে মুদ্রাঙ্কিত হয় তাহার সংখ্যা লিখনীতিরিক্ত অতএব পাঠকবর্গ বিবেচনা করিবেন যে এতদ্দেশে ছাপা যন্ত্রের কিপর্য্যন্ত বিস্তার হইয়াছে ও তদ্বারা নানা দেশীয় সমাচার ও নানাবিধ গ্রন্থ রচনায় লোকের কীৰ্দুকু উপকার দর্শিতেছে। পূৰ্ব্বে অশ্বদেশীয় লোক কোন পত্র ছাপা অক্ষরে মুদ্রিত দেখিলে নয়ন মুদ্রিত করিতেন যেহেতু সাধারণের সাধারণ বোধে ইহাই নিশ্চয় ছিল যে বর্ণাস্তরীয় লোক ছাপায় কেবল আমারদিগের ধৰ্ম্ম ছাপায় এক্ষণে সেভয়ে নির্ভয় হইয় অনেকে চক্ষু প্রকাশ পূৰ্ব্বক ছাপার পত্র দেখিয়া থাকেন যেহেতুক যথার্থ তাৎপৰ্য্য বোধ করিয়াছেন যে সেপত্রে পত্রিত লাভ হয় যথা একস্থানে বসিয়ু অনায়াসে বহু দর্শনে বহুদশী হইতে পারেন । সমাজ ( ৩০ মে ১৮২৯ । ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১২৩৬ ) মহামহিম শ্ৰীযুত ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির ইজারা বিষয়ক ॥—প্রায় সকলেই অবগত আছেন যে ইং ১৮১৪ সালে শ্ৰীযুত কোম্পানি বাহাদুরেরা ২০ বৎসরের নিমিত্তে এই বাঙ্গালদেশ শ্ৰীল ঐযুত ইংলণ্ড পতির নিকট হইতে ইজারা লইয়াছেন সেই ইজারার মিয়াদের শেষ প্রায় নিকটবৰ্ত্তী হুইল ইহাতে লিবরপুল দেশস্থ প্রধান মহাজনের ঐ ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানিরদিগের পুনশ্চ নূতন ইজারা লওনেতে প্রতিবদ্ধক হইবার উদযোগ পাইতেছেন ইহারা ঐনিমিত্তে গত জানের মাসের ২৮ তারিখে এক সভা করিয়াছিলেন ইহাতে এই প্রস্তাব হইল যে চীন দেশে ফ্রিত্রেভর অর্থাৎ প্রতিবন্ধক বিহীন ভেজারতি ও বিলাতে বঙ্গদেশের সহিত কারবার বিষয়ে যে নিয়মিত বাধা আছে তাহা মোচন হইলে ঐ রাজধানীর এবং ইংরাজ অধিকারস্থ বঙ্গদেশ সকলের বিস্তর লভ্য জনক হয় এবং আরো প্রস্তাব হইল যে পূৰ্ব্ব হইতে ক্রিত্রেডর হইয় এতদ্দেশে দ্রব্যাদি সমাগমের বৃদ্ধি হইয়াছে অধিকন্তু ঐ প্রতিবন্ধক মোচন হইলে ব্যবসায় আরো বৃদ্ধি হইতে পারে তাহার প্রমাণ দশাইলেন তদনন্তর বঙ্গদেশে নীলকর সাহেবেরা নীলের চাস করিয়া প্রতিবৎসর প্রায় দেড়কোটি