সম্পাদকীয় 貂之> পৃ. ৪৯—রঘুরাম শিরোমণি রঘুরাম শিরোমণি ১৮২২ সনের আগষ্ট মাসে কলিকাতা কলুটোল চন্দ্রিক যন্ত্ৰালয় হইতে দায়ভাগার্থ দীপিকা’ নামে ৬১ পৃষ্ঠার একখানি পুস্তক প্রকাশ করিয়াছিলেন । এই পুস্তক-রচনা সম্বন্ধে শিরোমণি মহাশয় লিখিতেছেন – নমোগণেশায় । বিদ্যাভূষণ রূপে খ্যাত সৰ্ব্বদেশে বিদিত সৰ্ব্বশাস্ত্রবেত্তা যে শ্ৰীযুত রঘুমণি পণ্ডিত র্তার ছাত্র বন্দ্যঘটায়ফুল্লকুলে রামেশ্বর চক্রবর্তির সস্তান যে শ্ৰীযুত রঘুব্রাম শিরোমণি তিনি জীমূতবাহনের কৃত সমুদ্রের ন্যায় দুস্তরণীয় অর্থাৎ অতি কঠিনার্থ যে দায়ভাগগ্রন্থ তাহার বহু প্রকার বিবেচনা করিয়া পণ্ডিত ও অপণ্ডিত লোকের মুখবোধের নিমিত্ত সুরতিক্রমে শ্লোক শ্রেণীদ্বারা সংক্ষেপে দায়ভাগার্থ দীপিকা নামে সংগ্ৰহ করিয়াছেন এই সংগ্রহ জ্ঞানের প্রকাশক আর সংগ্ৰহকারের ও অন্যের প্রয়োজন সম্পাদক এবং ঐ বিদ্যাভূষণ ভট্টাচার্ষ্যের তুষ্টি পূৰ্ব্বক বিবেচিত। সংগ্রহ করণের প্রথম কারণ। সাহেবের মধ্যে সুজন পণ্ডিত এবং অষ্টপ্রকার বিদ্যাতে দক্ষ ও ব্যবহারে দানে শীলে শেষ্ঠ ৰে লুঈষ নেমিনামে খ্যাত ঐযুতসাহেব তাহার আদেশ । ( পৃ. ২৪ ) পৃ. ৫১–রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ ১৮৪৫ সনে রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশের মৃত্যু হইলে ১ বৈশাখ ১৭৬৭ শকের তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা'র র্তাহার সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রকাশিত হয় । এই বিবরণ নিম্নে উদ্ধত হইল – মহাত্মা ত্রযুক্ত রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশের জীবন বৃত্তান্ত —মহাত্ম ত্রযুক্ত রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ ১৭° ৭ শকের ২৯ মাঘ বুধবারে পালপাড় নামক গ্রামে জন্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন । স্টাফার পিতা শ্ৰীযুক্ত লক্ষ্মীনারায়ণ তর্কভূষণের চারি পুত্র ; জ্যেষ্ঠ পুলের নাম নন্দকুমার বিদ্যালঙ্কার তিনি গাই স্থ} আশ্রম পরিষ্যাগ পূর্বক সন্ন্যাসাশ্রম গ্রহণ করিলে হরিহরানন্দনাথ তীৰ্থস্বামী কুলাবধৌত নামে খ্যাত ছিলেন ; মধ্যম পুত্রের নাম রামধন বিদ্যালঙ্কার, তিনি স্মৃতি শাস্ত্রে উৎকৃষ্ট রূপে ব্যুৎপন্ন ছিলেন, এবং আপন গৃহেতেই অধ্যাপনা করিতেন ; তৃতীয় পুত্রের নাম রামপ্রসাদ ভট্টাচাৰ্য্য ; এবং স্ত্রীযুক্ত রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ মহাশয় সৰ্ব্ব কনিষ্ঠ ছিলেন । বিদ্যাবাগীশ মহাশয় ব্যাকরণাদি ব্যুৎপত্তি শাস্ত্র স্বীয় গ্রামেই অধ্যয়ন পূৰ্ব্বক কাশী প্রভূতি পশ্চিমাঞ্চলের নানা স্থানে ভ্রমণ করেন। পরন্তু প্রত্যাগমনানস্তর প্রায় পঞ্চবিংশতি বৎসর বয়ঃক্রমে শাস্তিপুরস্থ রামমোহন বিদ্যাবাচস্পতি গোস্বামি ভট্টাচার্য্যের নিকটে স্মৃত্যাদি শাস্ত্র অধ্যয়ন করিয়ীছিলেন । مما পরস্তু হরিহরানন্দনাথ তীর্থস্বামী দেশ পর্য্যটন করত রঙ্গপুরে উপস্থিত হইয়া তত্রস্থ কালেক্টরির দেওয়ান রাজা রামমোহন রায়ের সহিত সাক্ষাৎ করিলে রাজা তাহার শাস্ত্র চর্চ বিধরে অত্যন্ত আমোদ প্রযুক্ত তীর্থস্বামিকে মহা সমাদর পূর্বক আহবান করিলেন। স্বভাবতঃ গাঢ় জ্ঞানৈষণ ও স্বদেশের মঙ্গলাভিলাষ প্রযুক্ত রামমোহন রায় বিষয় কষ্মে জড়িত থাকিতে অসম্মত হইয়। রঙ্গপুরের কৰ্ম্ম পরিত্যাগ পূর্বক তীর্থস্বামিকে সমভিব্যাহারি করিয়া ১৭৩৪ ১৭৩৬ ? ]শকে কলিকাতা নগরে আগমন করিলেন । এই কালে বিদ্যাবাগীশ মহাশয়ের অন্য অন্য ভ্রাতারা তাহার প্রতি অনেক প্রকার বিরাগ প্রকাশ করাতে, এবং তাহাকে পৃথক্ করিয়া দেওয়াতে, তিনি অত্যস্ত বিপদগ্ৰস্ত হয়েন, এ প্রযুক্ত র্তাহার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা উক্ত তীর্থস্বামী রাজার নিকটে তাহাকে আনয়ন পূৰ্ব্বক সাক্ষাৎ করাইয়। দিলেন । বিদ্যাবাগীশ মহাশয় অতিশয় বুদ্ধিমান, এবং সংস্কৃত ভাষাতে শবললঙ্কারাদি ব্যুৎপত্তি শাস্ত্রে ও ধর্ম শাস্ত্রে অত্যন্ত ব্যুৎপন্ন প্রযুক্ত রাজা তাহাকে মহা সন্ত্রম পূর্বক গ্রহণ করিলেন । তিনি હૈ ইচ্ছানুসারে তাহার সমভিব্যাহরি শিবপ্রসাদ মিশ্র নামক এক জন ব্যুৎপন্ন পণ্ডিতের নিক 纵 উপনিষৎ ও বেদাস্ত দর্শনাদি মোক্ষ প্রয়োজক শাস্ত্র অধ্যয়ন করিতে প্রবৃত্ত হইলেন, এবং র্তাহার স্বাভাবিক উজ্জ্বল মেধা বশতঃ অত্যয় কাল মধ্যে উক্ত শাস্ত্রে অসাধারণ সংস্কারাপন্ন হইলেন ।
পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/৪৬৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।