পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/৪৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্পাদকীয় 8ల్సి প্রহর তিন ঘন্টার সময়ে প্রথমতঃ একবিংশতি ব্যক্তিকে উক্ত ধৰ্ম্মে প্রবিষ্ট করিলেন এবং তজ্জন্য ব্রাহ্মদিগের সম্মুখে যে মহানন্দ ব্যক্ত করিয়াছিলেন তাহ অনেক ব্রাহ্মেরই হৃদয়ঙ্গম আছে । তদনস্তর তিনি ১৭৬৫ শকের মাঘ মাসে পক্ষাঘাত রোগে পীড়িত হইলেন । তদনধি ইংরাজ ও বাঙ্গালি চিকিৎসক দ্বারা অনেক প্রকার চিকিৎসা হইয়াছিল, কিন্তু তাঙ্গতে উপশম ম৷ শরীর ক্রমশঃ অবসন্ন হইতে লাগিল । ইহাতে তিনি অনুভব করিলেন, যে কাশী অঞ্চলের কল বায়ু সুস্থতাদায়ক, এবং তথায় উত্তম উত্তম মোসলমান চিকিৎসক দ্বার চিকিৎস হুইবারও সম্ভাবনা অতএব তিনি ১৭৬৬ শকের ৯ ফাল্গুণ বুধবার দিব নয় ঘণ্টার সময়ে কাশী যাত্রা করিলেন । কিন্তু তথায় উত্তীর্ণ হইবার পূৰ্ব্বে পরমেশ্বর তাঙ্গকে পীড়ার যন্ত্রণা হইতে মুক্ত করিলেন, এবং তিনি ছয় কল্প মাত্র বর্তমান রাখিয়া গত ২ ফাল্গুণ রবিবার [ ২ মার্চ ১৮৪৫ ] দিব অষ্ট ঘণ্টার সময়ে মুরশিদাবাদে ৫৯ বৎসর ২১ দিন বয়ঃক্রমে ইহ লোক হইতে অবস্থত হইলেন । বিদ্যাবাগীশ মহাশয়ের শাস্ত্রজ্ঞান ও বিচার শক্তি যে প্রকার প্রধান ছিল, এবং বঙ্গ ভযাতে রচনা ও বক্তৃত বিষয়ে তাহার যেরূপ নৈপুণ্য ছিল তাঙ্গ তাহার ব্রাহ্মসমাজব অনেক ব্যাখ্যানেট ব্যক্ত আছে । ষে জ্ঞান সুখ স্বয়ং লাভ করিয়াছিলেন, তাঙ্গ স্বদেশস্থ লোকদিগের প্রতি বিতরণ করিবার জন্য মহোৎসাহী ছিলেন, এবং তাহার তাবৎ জীবন সেই ব্ৰহ্মজ্ঞান প্রচারের নিমিত্তে ক্ষেপণ করিয়াছিলেন । আপন দেশে পরমেশ্বরের উপাসনা প্রকাশ করিবার জঙ্গ তাভাব এ প্রকার দু৮ উৎসাহ ও গাঢ় যত্ব ছিল, যে অতিশয় যন্ত্রণাদায়ক প্রতিবন্ধক সকল উপস্থিত হওয়াতেও তিনি ক্ষণ কালের নিমিত্তে তাহ হইতে নিরস্ত হয়েন নাই । পরস্তু সচ্চরিত্র ভাষ্ঠীর এই সকল গুণেৰ অলঙ্কাৰ ছিল । জিতেন্দ্রিয়, প্রসন্ন চিত্ত, পরহিতৈষী এবং শীলতা দ্বারা সকলের সন্তোষজনক ছিলেন । বিশেষতঃ তাহার তিতিক্ষ অতি অসাধারণ ছিল । জীবৎমানে টাঙ্গর দুই পুত্র ও তিন কন্সার মৃত্যু হয়, কিন্তু সে সকল ঘটনাকে তিনি পরমেশ্বরের ইচ্ছাধীন জানিয়া তাঙ্গর অত্যন্ত সচিকুত প্রযুক্ত এক দিনের নিমিত্তেও বিশেষ রূপে চঞ্চলচিত্ত হয়েন নাই । ১লা বৈশাখ ১৭৬৮ শকের তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’র প্রারম্ভে নিম্নাংশ মুদ্রিত হইয়াছে -- “বিজ্ঞাপন –ব্রাহ্মসমাজের গত আচার্যা বামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ মহাশয় পরলোক গমন কালে ব্রাহ্মসমাজের জন্য যে ৫০০ পঞ্চ শত টাকা দান করিয়াছিলেন তাহ শ্ৰীযুক্ত নবকৃষ্ণ সিংহ মহাশয়ের নিকট হইতে প্রাপ্ত হইয়াছি । শ্ৰীশ্ৰীধর শম্মী । প্রধান উপাচাৰ্য্য ।” রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ যে-সকল গ্রন্থ রচনা করিয়াছিলেন তাহার সংক্ষিপ্ত পরিচয় :– (১) জ্যোতিষসংগ্রহসার –১০ মাঘ ১২২৩ সাল = ১৮১৭ জানুয়ারি । পৃ. ১৫৫ ৷ গ্রন্থের প্রারম্ভে এই অংশ মুদ্রিত হইয়াছে – সেই সত্যপরাৎপরে বাক্যমন অগোচরে বিশ্বব্যাপি বিশ্বের কারণে । দ্বিজরামচন্দ্র নাম বাস পালপাড় গ্রাম নতিস্তুতি করি কায়ুমনে । বারতিথিরাশিলগ্ন শুনিতে সকলে মগ্ন গৃহস্থের সদা প্রয়োজন । সবিশেষ জানিবারে জ্যোতিষ অপেক্ষা করে এইহেতু করিয়া যতন । শকে সপ্তদশশতে আটত্রিশ দিয়া তাতে সাধারণ বোধের কারণ । জ্যোতিষসংগ্রহসার যথাশক্তি আপনার করিলাম ভাষাবিবরণ ॥

  • [ 'ফ্ৰেণ্ড অব ইণ্ডিয়া পত্রে উদ্ধত একটি সংবাদে প্রকাশ যে ১৮৪২ সনের ২৩ ফেব্রুয়ারি রামচন্দ্র বিদ্যাৰাগীশের মৃত্যু হয় । সংবাদটি এইরূপ :–

. Tuesday, March 11.—We announce with regret the death of that iே Ramchunder Vidyabagish, late. Professor of Law in , the Calcutta Sungserit College, who, after a life, of , great usefulness expired, under a complication of disorders on the 23rd February, at Moorshedabad. He was the friend of Ram Mohun Roy. The Friend of India, 13 March 1845, p. 166. )