SB চনংবাদ পত্রে মেকাণ্ডেলৰ কথা পারদর্শিরূপে বিখ্যাত ছিলেন এবং ইদানীন্তন মহারাণী ভবানী হটী বিদ্যালঙ্কার খামাকুন্দরী ব্রাহ্মণী এহার লেখাপড়া ও নানা শাস্ত্র ও দর্শন বিদ্যাতে অতিতৎপর হইয়া অতিমুখ্যাতি প্রাপ্তা হইয়াছেন। বিদ্যাশিক্ষাতে তাহারদিগের কোন অংশে মানক্রটি কিম্বা অপযশ হয় নাই বরং যশোবৃদ্ধি হইয়াছে। এবং বৃহদারণ্যকোপনিষদে স্পষ্ট লিখিয়াছেন অনেকের বোধের অগম্য যে ব্ৰহ্মজ্ঞান তাহ যাজ্ঞবল্ক্য আপন স্ত্রী মৈত্রেয়ীকে উপদেশ করিয়াছিলেন তদ্বারা মৈত্রেয়ী চরিতার্থ হইয়াছেন তাহাতে র্তাহার কীৰ্ত্তি অদ্যাপি আছে এবং ব্রহ্মার পুত্র অত্রি তাহার স্ত্রী অকুস্বয়া অশেষ শাস্ত্র পাঠ করিয়া বিদ্যাবতী হইয়া অন্তকে শাস্ত্রোপদেশ করিয়াছেন এবং দ্রুপদরাজকন্যা পাগুব পত্নীর পাণ্ডিত্য লিপিবাহুল্য। এবং রুক্মিণী পত্র লিখিয়া সুদাম ব্রাহ্মণ দ্বারা শ্ৰীকৃষ্ণ নিকটে প্রেরণ করিয়াছিলেন শ্ৰীমদ্ভাগবত গ্রন্থে স্পষ্ট লিখিয়াছেন। এবং চিত্ৰলেখার শাস্ত্রদৃষ্টি ও শিল্পবিদ্য। ঐ শ্ৰীমদ্ভাগবতে উষাহরণ প্রকরণে স্পষ্ট লিথিয়াছেন । এবং উদয়নাচার্যের কন্যা লীলাবতী এমন পণ্ডিত ছিলেন যে তাহার স্বামির সহিত শঙ্করাচাৰ্য্য যৎকালে বিচার করিলেন তখন ঐ লীলাবতী উভয়ের মধ্যস্থ ছিলেন এবং তাহার রচিত অনেক২ গ্রন্থ প্রচলিত আছে । এবং সিদ্ধান্তশিরোমণি গ্রন্থকৰ্ত্ত ভাস্করাচার্য্যের কন্যা দ্বিতীয় লীলাবতী অঙ্কশাস্ত্রে তাহার তুল্য ছিল না। এবং কার্ণাট দেশের রাজরাণী এমত পণ্ডিত ছিলেন যে কালিদাস প্রভৃতির কবিতা তুচ্ছ করিয়াছেন । এবং লক্ষ্মণ সেনের স্ত্রী যে২ কবিতা করিয়াছেন পণ্ডিতেরা সে সকল প্রসঙ্গ করিয়া জ্ঞানীর নিকট প্রতিপন্ন হইতেছেন । এবং পদ্মপুরাণান্তর্গত ক্রিয়াযোগসারে লিখিত আছে যে তালধ্বজপুরীতে বিক্রম নামক রাজার পুত্র মাধব যখন স্থলোচনাকে বিবাহ করিতে দীব্যস্তী নগরে গিয়া স্থলোচনাকে পত্র লিখিয়াছিলেন তখন ঐ স্থলোচনা পত্র পাঠ করিয়া সদুত্তর লিখিয়াছিলেন । এবং বীরসিংহ রাজার কন্যা বিদ্যা ব্যাকরণাদি নানাশাস্ত্রাধ্যয়ন করিয়াছিলেন । ও রাজসহীর রাজা মহারাজ রামকান্তরায়ের স্ত্রী মহারাণী ভবানী বিদ্যাভ্যাস দ্বারা চিরকাল রাজশাসন করিয়াছেন কাশীতে র্তাহার অন্নপূর্ণ খ্যাতি আছে অদ্যাপি প্রাতঃকালে উঠিয়া লোকেরা তাহার নামস্মরণ করে । এবং রাষ্ট্ৰীয় ব্রাহ্মণ কন্যা হটী বিদ্যালঙ্কার নামে খ্যাত হইয়া বৃদ্ধাবস্থাতে কাশীতে অধ্যাপনা করিয়াছেন এবং সেখানে তাহার সৰ্ব্বত্র নিমন্ত্রণ হইত। এবং কোটালী পাড়াগ্রামে শুমামুন্দরী নামে এক ব্রাহ্মণী ব্যাকরণাদি ন্যায়পৰ্য্যন্ত অধ্যয়ন করিয়াছেন। ( ১৩ এপ্রিল ১৮২২ । ২ বৈশাখ ১২২৯ ) স্ত্রী শিক্ষার শেষ ॥—স্ত্রী শিক্ষাবিধায়ক বিষয়ের অবশিষ্ট যে ছিল তাহা প্রকাশ করা যাইতেছে। ইদানীন্তন বিদ্যাবতী অনেক স্থানে অনেক স্ত্রী আছেন এই কলিকাতা মহানগরের মধ্যে ভাগ্যবান লোকেরদিগের অনেক স্ত্রী প্রায় লেখাপড় জানেন । এবং বীরনগরের শরণসিদ্ধান্ত ভট্টাচার্ঘ্যের দুই কন্যা বাৰ্ত্তাবিদ্যা শিক্ষা করিয়া পরে মুগ্ধবোধ ব্যাকরণ পাঠ করিয়া ব্যুৎপন্ন
পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/৫২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।