পাতা:সংসার (রমেশচন্দ্র দত্ত).pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ পরিচ্ছেদ । Sy বাজার, হেমচন্দ্ৰ দেখিয়া শুনিয়া ৱিস্মিত হইলেন। কলিকাতার কি মাহাত্ম্য,-এমন জিনিসই নাই যুহি খরিদ বিক্রয় হয় না। याशcङ झुशे श्रब्रमा गाऊ आहछ তাঁহারই একখানা দোকান খোলা হইয়াছে, মাল গুদমজাত হইয়াছে, মালের গুণাগুণ যাহাই হউক, একখানি জমকাল ‘সাইন বোর্ড” সন্মুখে দৰ্শক দিগের নয়ন ঝলসিত করিতেছে ! বাল্যকালে তিনি বড় বাজারের বণিকদিগকে চতুর মনে করিতেন, কিন্তু আদ্য এ বাজারের চতুরতা দেখিয়া বিস্মিত হইলেন, চতুরতায় জিনিসের কাটতি, চতুরতায় বিশেষ মুনাফা, চতুরতায় জগৎ সংসার ধাদা লাগিয়া बश्निांछ ! কলিকাতায় অনেক দিন থাকিতে থাকিতে হেমচন্দ্ৰ সময়ে সময়ে অল্প পরিমাণে খাটি মালও দেখিতে পাইলেন । কখন কোন ক্ষুদ্র দোকানে বা অন্ধকার কুটীরে একটু খাটি দেশ হিতৈষিতা, একটু খাটি পরোপকারিতা, বা একটু খাটি পাণ্ডিত্য পাইলেন, কিন্তু সে মাল কে চায়, কে জিজ্ঞাসা করে ? কলিকাতার গৌরবান্বিত বড় বাজারের সে মালের আমদানি রূপতানি বড় অল্প, সুসভ্য মন্থাসন্ত্রান্ত ক্ৰেতাদিগের মধ্যে সে মালের আদর অতি অল্প । দ্বাদশ পরিচ্ছেদ । ছেলে মুখে বুড়ো কথা। আষাঢ় মাসে বর্ষাকাল আরম্ভ হইল, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হইল, হেমচন্দ্রের ভবিষ্যৎ আকাশও মেঘাচ্ছন্ন হইতে লাগিল।