পাতা:সংসার (রমেশচন্দ্র দত্ত).pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\bbro २अद्धि । বিন্দ বিছানা করিয়া দিলেন, ভগিনীকে তুলিয়া বিছানায় শোয়াইলেন, এবং আপনি পার্শ্বে বসিয়া গায়ে হাত বুলাইয়া দিতে লাগিলেন। রাত্ৰিতে হেম ও শরৎ আসিলেন, অনেকক্ষণ উভয়ে বিছানার কাছে বসিয়া আস্তে আস্তে কথাবাৰ্ত্ত কহিতে লাগিলেন। রাত্রি দশটা হইয়া গেল, তখন বিন্দু হেমের জন্য ভাত বাড়ীতে গেলেন। শরৎকেও ভাত খাইতে বলিলেন, শরৎ বলিলেন বাড়ীতে গিয়া খাইবেন । ভাত বাড়া হইল, হেম ভাত খাইতে গেলেন, শরৎ একাকী সেই ক্লান্ত বালিকার পার্শ্বে বসিয়া সুশ্রুষা করিতে লাগিলেন । বালিকার শরীর তখন অতিশয় উত্তপ্ত হইয়াছে, চক্ষু দুটা রক্ত "বর্ণ হইয়াছে, বালিকা যাতনায় এপােশ ওপাশ করিতেছে, কেবল জল চাহিতেছে, আর আতিশয় শিরোবেদনার জন্য এক একবার কঁাদিতেছে। শরৎ সযত্নে চক্ষুর জল মুছাইয়া দিলেন, মাথায় ও গায়ে হাত বুলাইয়া দিতে লাগিলেন, রোগীর শুষ্ক ওষ্ঠে এক এক বিন্দু জল দিয়া ত্মাপন বস্ত্ৰ দিয়া ওষ্ঠ দুটী মুছাकँ ब्लिन्न । হেম শীঘ্ৰ খাইয়া আসিলেন, অনেক রাত্ৰি হইয়াছে বলিয়া শরৎকে বাটী যাইতে বলিলেন। শরৎ দেখিলেন সুধার রোগ ক্ৰমশঃ বৃদ্ধি পাইতেছে, তিনি সে দিন রাত্ৰি তথায় থাকিবেন। বলিয়া ইচ্ছা করিলেন। বিন্দুও খাইয়া আসিলেন, শরৎ বলিলেন,- বিন্দুদিদি, আজ আমি এখানে থাকিব, তোমাদের হাড়ীতে যদি চারটি ভাত থাকে, আমার জন্য রাখিয়া দাও।