পাতা:সংসার (রমেশচন্দ্র দত্ত).pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্দশ পরিচ্ছেদ। S8) কয়েক দিন পল্লিগ্রামে প্রস্ফুটিত হইয়াছিল, আদ্য সে পুষ্প বুঝি আবার মুদিত হইয়া নম্রশির চনত করিল। দরিদ্রা বালিকার ক্ষুদ্র জীবন-ইতিহাস বুঝি সাঙ্গ হইল। বিংশ দিবস হইতে নবীনও দিবারাত্ৰি হেমের বাটীতে রছিলেন। শরৎকে গোপনে বলিলেন শরৎ তোমার নিকট কোন কথা গোপন করিব না, আর দুই এক দিনের মধ্যে যদি এই জ্বর না ছাড়ে, তবে ঐ দুৰ্ব্বল মৃতপ্ৰায় শরীরকে জীবিত রাখা মনুষ্য-সাধ্য নহে। আর দুই তিন দিন আমি দেখিব, তাহার পর আমাকে বিদায় नि७ । ऊाभांद्ध शांश् जांक्षा করিলাম, জীবন দেওয়া না দেওয়া জগদীশ্বরের ইচ্ছা । দ্বাবিংশ দিবসের সন্ধার সময় জর একটু হ্রাস হইল, কিন্তু তাহাতেও কিছু ভরসা করা যায় না। রাত্ৰিতে দুই জনই শয্যা পার্শ্বে বসিয়া রছিলেন, সে দিন সমস্ত রাত্ৰি সুধা নিদ্রিতা । এ কি আরোগ্যের লক্ষণ, না দুৰ্বলতায় মৃত্যুর পূর্ব চিহ্ন ? অতি প্ৰত্যুষে শরৎ আবার তাপযন্ত্র বসাইলেন। তাপযন্ত্র উঠাইয়া গবাক্ষের নিকট যাইলেন। কি দেখিলেন জমি না, ললাটে করাঘাত করিয়া নিশ্চেষ্ট হইয়া ভূমিতে পড়িয়া গেলেন । নবীনচন্দ্ৰ ধীরে ধীরে সেই যন্ত্র শরতের হস্ত হইতে লইলেন, বিপদকালে ধীরতাই চিকিৎসকের বীরত্ব। তাপযন্ত্ৰ দেখিলেন,- আস্তে আস্তে শরৎকে হাত ধরিয়া উঠাইলেন। শরৎ হতাশের ন্যায় জিজ্ঞাসা করিলেন,-তবে বালিকার পরমায়ু শেষ হইয়াছে ? নবীন। পরমেশ্বর বালিকাকে দীর্ঘায়ুঃ করুন, এযাত্রা সে পরিত্রাণ পাইয়াছে ।