পাতা:সংসার (রমেশচন্দ্র দত্ত).pdf/১৫৮

外邻而叫外f讯瓦而1 yd S. DBDi uDuS BEDES DDD DDDBD uuDuD Du DDSDBDSSYLBDD সেই ক্ষীণ কিন্তু শান্ত, কমনীয়, হাস্যরঞ্জিত মুখখানি দেখিয়া হৃদয় তৃপ্ত করিতেন। ছাদে গিয়া শরৎকে অনেক্ষণ অবধি সুধাকে অনেক গল্প শুনা- “ ইতেন। তালপুখুর গ্রামের গল্প, বাল্যকালের গল্প, সুধার দরিদ্রা মাতার গল্প, শরতের মাতার গল্প, শরতের ভগিনীর গল্প, অনেক বিষয়ের অনেক গল্প করিতেন। সুধাও একাগ্ৰচিত্তে সেই মধুর কথাগুলি শুনিত, শরতের প্রসন্ন মুখের দিকে চাহিয়া থাকিত। রোগে বা শোকে যখন আমাদিগের শরীর দুর্বল হয়, অন্তঃকরণ ক্ষীণ হয়, তখনই আমরা প্ৰকৃত বন্ধুর দয়া ও স্নেহের সম্পূর্ণ মহিমা অনুভব করিতে পারি। অন্য সময়ে গৰ্ব্ব করিয়া যে পরামর্শ শুনি না, সে সময়ে সেই পরামর্শ হৃদয়ে স্থান পায়, অন্য সময়ে য়ে স্নেহ আমরা তুচ্ছ করি, সে সময়ে সেই স্নেহে আমাদিগের হৃদয় সিক্ত হয়, কেন না সদয় তখন দুর্বল, মেহের বারি প্রত্যাশা করে। লতা যেরূপ সবল বৃক্ষকে আশ্ৰয় করিয়া ধীরে ধীরে বুদ্ধি ও স্ফৰ্ত্তিলাভ করে, সুধা, শরতের অমৃত বচনে সেইরূপ শান্তিলাভ করিত। সন্ধ্যা • পৰ্যন্ত সুধা সেই অমৃতমাখা কথাগুলি শ্রবণ করিত, সেই স্নেহময় মধুর প্রসন্ন মুখের দিকে চাহিয়া থাকিত, অথবা ক্লান্ত হইয়া সেই মধুর হৃদয়ে মন্তক স্থাপন করিত। যত্নের সহিত শরতের ও স্নেহ বাড়িয়েক্ত লাগিল, তিনি বালিকার ক্ষীণ বাহুলতা স্বহস্তে ধারণ করিয়া বালিকার মস্তক আপনি বক্ষে স্থাপন করিয়া শান্তিলাভ করিতেন । একদিন উভয়ে এইরূপে ছাদে বসিয়া আছেন, এমন সময়ে হেমচন্দ্ৰ ছাদে আসিলেন ও শরৎকে বলিলেন,-