পাতা:সংসার (রমেশচন্দ্র দত্ত).pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ । , S0 ዓ সম্বন্ধে আমাদের কত অল্প উন্নতি হইতেছে। এবিষয়ে উন্নতিতে নূতন আইনের আবশ্যক নাই, রাজার মুনুজ্ঞার আবশ্যক নাই, সমাজের রীতি পরিবর্তনের আবশ্যক নাই, একটু চেষ্টা হইলেই হয়। কিন্তু সে চেষ্টা কত বিরল। আপনাদিগের দেশের তুলা লইয়া আপনারা কাপড় নিৰ্ম্মাণ করিতে পারিতেছি না, ইউরোপ হইতে আমাদের পরিধেয় বস্ত্ৰ আসিতেছে, তঁতীদের দিন দিন দুরবস্থা হইতেছে। হেম । কলে নিৰ্ম্মিত কাপড়ের সহিত তাতীর হাতে কাব্য করিয়া কখনও যে পারিয়া উঠিবে এরূপ আমার বোধ হয় না। আমি পল্লীগ্রামে অনেক হাটে গিয়াছি, অনেক গরিব লোকের বাড়ী গিয়াছি। আমার মনে আছে পূৰ্ব্বে সকল ঘরেই চরকা চলিত, এক্ষণে গ্রামে একখানা চরকা দেখা যায় না। তাহার কারণ, উৎকৃষ্ট বিলাতি সুতা অতি অল্প মূল্যে বিক্রয় হয়। হাটে যে দেশী কাপড় ১॥• টাকায় বিক্রয় হয়। সেইরূপ বিলাতি কাপড় ৮/০ আনায় বিক্রয় হয়। তাহাতে সাধারণ লোকের বিশেষ উপকার কুইয়াছে, তাহারা অল্প মূল্যে ভাল • কাপড় পরিতে পারে, কিন্তু ভঁতীরা হাতে কায করিয়া কখনও কলের কায্যের সঙ্গে পরিবে: डांश् 6वां श्व नीं। নবীন। আমিও তাহাই বলিতেছি, সুসভ্য জগতে হাতের কায উঠিয়া যাইতেছে, এক্ষণে ক’লে কাব্য করা ভিন্ন উপায় নাই । তবে আমরা বঙ্গদেশ এরূপ কলে। আচ্ছন্ন করি না কেন ? আমাদের কি সেটুকু উৎসাহ নাই, সেটুকু বিদ্যাবুদ্ধি নাই ? 8