পাতা:সংসার (রমেশচন্দ্র দত্ত).pdf/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্বিংশ-পরিচ্ছেদ। &8S তা বুঝি জান না ? সে যে এখন সেয়ানা মেয়ে হয়েছে, লুকিয়ে লুকিয়ে বিষবৃক্ষ १हg। শরৎ। তোমার পায়ে ধরি বিন্দুদিদি, ঠাট্টা ছাড়, একবার তোমার মনের কথাটী বলিয়া আমাকে তৃপ্ত কর। বিন্দু। না বাবু, পায়ে টায়ে ধরিও না, এখনই সুধা দেখতে পাবে, আবার রাগ করিবে ? তুমি চলে গেলে কি আমরা দুটী বনে কেঁাদল করিব ? পরের দায়ে কেন ঠেকা बांबू? শরৎ । তোমার সঙ্গে আর পারিলাম না বিন্দুদিদি। মনে করেছিলাম তোমার সঙ্গে পরামর্শ করিব, সব ঠিকঠাক করিব, তা দেখছি আজ কিছুই হইল না । বিন্দু। তা ঠিকঠাক আর কি ? কেবল বামুন পুরুতে ডাকা বাকি আছে বৈত নয়, তা না হয় ডেকে দি বল ? না কি আজ কাল কলেজের ছেলে নিজেই বামুন পুরুতের কাজ সেরে নেয়। তাও ত জানি না। স্ত্রী-আচারটা কি আমাদের করিতে হইবে, না তাও সুধা নিজেই সেরে নেবে ? তা না হয়। সুধাকে ডেকে দি ? ও সুধা! একুবার। এদিকে আয় তা ধন, শরৎ বাবু তোকে ডাকচোন, বড় দরকার, একটু শীঘ্ৰ করে আয়। শরৎ হতাশ হইয়া উঠিলেন, বিন্দুও হাসিতে হাসিতে উঠিলেন। তখন শরৎ বিন্দুর দুটীি হাত ধরিয়া বলিলেন,- বিন্দুদিদি, তুমি ছেলে বেলা থেকে আমাকে বড় স্নেহ কর, একটী কথা শুন । তুমি এ কাৰ্য্যে সন্মত হইয়াছ, হেমবাবু তাহা আমাকে বলিয়াছেন, একবার সেই কথাটা মুখে বলিয়া আমাকে তৃপ্ত কর,-একবার আমাদের আশীৰ্ব্বাদ করা। RS