পাতা:সংসার (রমেশচন্দ্র দত্ত).pdf/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুবিংশ পরিচ্ছেদ। Հ8Ծ বিনিন্দিত লাবণ্যবিভূষিত দেহলত কি শরৎ নিজ বক্ষে ধারণ করিবেন ? শরতের দরিদ্র কুটীরে কি ঐ সুন্দর কুসুমটী দিবারাত্রি প্রস্ফটিত থাকিবে ? প্ৰাতঃকালে উষার আলোকের ন্যায় ঐ প্রণয় আলোক কি শরতের জীবন আলোকিত করিবে ? সায়ংকালে ঐ স্নেহ প্ৰদীপ কি শরতের ক্ষুদ্র কুটীর উজ্জল ফরিবে ? অসংখ্য উদ্যমে, অসংখ্য চেষ্টায়, ক্লেশে ও পরিশ্রমে, ঐ স্নেহময়ী ভাৰ্য্যা কি শরতের জীবনে শান্তি দান করিবে, জীবন সুখময় করিবে ? এইরূপ চিন্তা লহরীতে শরতের পূর্ণ হৃদয় উথলিতে লাগিল, শরৎ একটী কথা কহিতে श्रांत्रिक्ल नां । সুধা কবাটের শিক্‌লি দিয়া চাবি বন্ধ করিয়া দেখিলেন শরৎ বাবু দাড়াইয়া আছেন। সহসা তাহার গৌরবর্ণ মুখমণ্ডল লজ্জায় রক্তবর্ণ হইল, সুধা হেটমুখী হইল, মাথার কাপড়টী টানিয়া দিল। আবার শরৎ বাবুর কাছে মাথায় কাপড় দিল মনে করিয়া অধিক লজ্জিত হইল, চক্ষু দুটা মুদিত করিল, চক্ষুর উপরের চৰ্ম্ম পৰ্যন্ত লজ্জায় রঞ্জিত হইয়াছে। সুধা আর দাড়াইতে পারিল না, দৌড়াইয়া পলাষ্টয়া গেল। সুধার সেই রঞ্জিত অবনত মুখ খানি অনেক দিন শরতের হৃদয়ে অঙ্কিত রহিল। ক্লেশে, নৈরাশ্যে, পীড়ায়, সে মূৰ্ত্তি অনেক দিন তাহার স্মরণপথে আরোহণ করিয়াছিল। আনন্দ ও উদ্বেগপূর্ণ হৃদয়ে শরৎ বাটী আসিলেন। শরতের ভাগ্যে কি এই স্বৰ্গীয় সুখ যথার্থই আছে ? না আদ্য রজনীর দীপাবলীর ন্যায়। এই সুখের আশা সহসা নিবিয়া যাইবে, ঘোর অমাবস্যার অন্ধকার শরতের হৃদয় পূর্ণ করিবে ?