পাতা:সখা (১ম ২য় ৩য় বর্ষ) - শিবনাথ শাস্ত্রী .pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সখা । । Y & R মহারাজ আতি আগ্রহের সহিত বলিলেন ‘সে রত্নটি কি ?” পুরোহিত বলিলেন “তাহা জগতের সার রত্ন YD DD BBBDS LBBBB DBD S DBD SSDDSDDLEY লোলুপ হৃদয় তাহা লাভ করিতে উৎসুক হইল ; তিনি বলিলেন “তাহা কিরূপে লাভ করা যায় ?” পুরোহিত বলিলেন ‘ইহা লাভ করিতে হইলে পৃথিবীজয়ী হইতে হইবে, পৃথিবী জয়ী না হইলে অাশা বৃথা।” মহারাজ তাহা লাভ করিতে কৃতসঙ্কল্প | হইলেন। যাইবার সময় পুরোহিত তাহার হস্তে একটি কুশাঙ্গ ধীয় পরাইয়৷ ভাস্থাতে দেব প্রদীপের | কালী মাখাইয়া বলিলেন ‘যেদিন দেখিবে এই কালীর দাগ মুছিয়া গিয়াছে সেইদিন বুঝিও তুমি পৃথিবী জয়ী হইয়। এই রত্ন লাভে অধিকারী হই য়াছ-দীপ নিভিয়াছে।” রাজা বাড়ীী ফিরিয়া আসিলেন,--দিগ্বিজয়ের সমস্ত বন্দোবস্ত হইল, মহারাজ দিগ্নি জয়ে গমন করি।-- SJYBD SSDBDBB BKKK DBDD DB BBGD KBDDD | আপনাদিগকে পৃথিবী জয়ী জ্ঞান করিতেন। বীরেন্দ্র | সিংহ সমস্ত ভারতবর্ষ জয় করিয়া দেশে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলেন, আহলাদে হৃদয় উন্মত্ত, তিনি মানব হইয়া স্বাক্ষমতায় দেবরত্ন লাভ করিবেন। এপৰ্যন্ত | ধরাধামে এরূপ সৌভাগ্য কাহারো ঘটে নাই ;— কিন্তু সহসা তাহার সে অস্কলাদি দূর হইল, পুরোহিত কুশাঙ্গরীয় পরাইয়া যে কথা বলিয়াছিলেন তাহা মনে পড়িল, হস্তের দিকে চাহিয়া দেখিলেন অঙ্গরীয়কের কালীর চিহ্ন যেমন তেমনি রহিয়াছে। মহারাজ নিরাশ হৃদয়ে মহা মহোপাধ্যায় শাস্ত্ৰজ্ঞ পণ্ডিতদিগের সভা আহবান করিলেন । মন্দিরের বৃত্তান্ত ভঁহাদিগকে বলিয়া এসম্বন্ধে তাঁহাদের পরামর্শ জিজ্ঞাসা করিলেন। পণ্ডিতগণ বলিলেন “পুরোহিতের কথামত আপনি পৃথিবী জয় করিলেন কিন্তু তাহাতেও যখন অঙ্গরীয়কের কালী মুছিল না, তখন পুরোহিতের কথার যথার্থ অর্থ তাহা নহে। পৃথিবীর রক্তপাতে যথার্থ পৃথিবী জয় হয় না। যখন আপনি পৃথিবীর হৃদয় জয় করিতে পারিবেন । তখন যথার্থ পৃথিবী জয়ী হইবেন । জগতের লোক ভয়দৃষ্টিতে আপনাকে মনুষ্য-হস্তারক বলিয়া না দেপিয়া যখন ভাল বাসার চক্ষে, ভক্তির চক্ষে দেখিবে, যখন জগতের হৃদয় অধিকার করি বেন, তখনি আপনি পৃথিবী জয়ী হইতে পরিবেন।” মহারাজ এই কথা সত্য বলিয়া বুঝিলেন ;- রাজ্যের এক প্ৰান্ত হইতে অপর প্রাস্ত পৰ্য্যন্ত ধন রত্ন ঢালিয়া দিতে লাগিলেন, যশে জগৎ ধ্বনিত হইল, কিন্তু হায় ! রাজা ব্যথিত হৃদয়ে দেখিলেন। তাহার অঙ্গরীয়ক এখনো কালীময়। শাস্ত্ৰজ্ঞ পণ্ডিত দিগের কথাও ব্যর্থ দেখিয়া কালী মুছিবার উপায় জানিতে, তিনি ভগ্ন হৃদয়ে আবার সেই দেব মন্দিরের পুরোহিতের নিকট যাত্ৰা করিলেন। ষাইবার সময় পথে একজন সন্ন্যাসী তাহার স্নান বদন দেখিয়া তাহার কারণ জিজ্ঞাসা ফরিলেন । সবিশেষ শুনিয়া সত্নেহে বলিলেন ‘বৎস । রক্তপাত করিয়া কিম্বা যশোর কামনা পরবশ হইয়া পৃথিবী জয়ী নামের আশা করিও না। তাহাতে সে প্ৰদীপ নিভিবে না । যদি আত্মজয় করিতে পার তাহা হইলেই যথার্থ পৃথিবী জয়ী হইবে ও তাহা হইলেই তুমি সেই দেবীরত্নের অধিকারী।” সন্ন্যাসীর কথায় মহারাজের চৈতন্য হইল । তিনি মন্দিরে না গিয়া পথ হইতে বাটী ফিরিয়া আসিলেন । অন্যায় রূপে যে সকল রাজত্ব কাড়িয়া লইয়াছিলেন-তাহ ফিরাইয়া দিলেন, নিজের তুষ্পবৃত্তি সকল দমন করিয়া নিঃস্বাৰ্থভাবে পরোপকারে কৃতসঙ্কল্প হইলেন । আন্তরিক প্ৰাৰ্থনায় ঈশ্বর তঁহার সহায় হইলেন-ক্রমে লোভ, ঈর্ষা, অহঙ্কার সকলি তঁহাকে পরিত্যাগ করিল তিনি ঈশ্বরে আত্ম সমর্পণ করিতে সমর্থ হইলেন। তখন তাহার হস্তের কালী মুছিয়া গেল, কিন্তু তখন আর কোন রত্ন লাভে র্তাহার লোভ রহিল না, তিনি বাসনাহীন হৃদয়ে পুরোহিতকে ধন্যবাদ করিতে —