পাতা:সখা (১ম ২য় ৩য় বর্ষ) - শিবনাথ শাস্ত্রী .pdf/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nò o

! তবে একটা পয়সা খরচ ক’রে দেখে আসুন।” আমি দরজার লোকটাকে একটি পয়সা | প্ৰবেশ করিয়া দেখিলাম ঘরটি অত্যন্ত ক্ষুদ্র। দিয়া গৃহে সুৰ্য্যের আলোক প্ৰবেশ করিবার পথ নাই। কয়েকটী গেলাসের আলোতে ঐ ক্ষুদ্র গৃহটী কিয়াৎ পরিমাণে আলোকিত হইয়াছে। দেখি | লাম দ্বারের কিছু দূরে একটী সাদা কাপড়ের श्री वाद्ध। पद्धौि cछाऐ दg छूई कांभद्रांश दिङड হইয়াছে। ঐ পর্দাটি মেজে হইতে অনুমান দুই হাত উচ্চ । ঐ পর্দার এক দিকে দর্শকের দাড়াইয়া দেখেন ; অন্য দিকে মেজেতে একটি গোল টেবিল রহিয়াছে, তাহার সম্মুখের দিকের তিনটী পায়া ও তাহার উপর একটি কাঠের বাক্স | দেখা যায়। এই কাপড়ের পর্দার দ্বারা দুইটি কাজ হয়। প্রথমতঃ কোন দর্শক ঐ টেবিলের | নিকটে যাইতে ও তাহার কোন দ্রব্য স্পর্শ করিতে পারেন না ; দ্বিতীয়তঃ ঘাড় হেঁট করিয়া টেবিলের নীচু দিয়া টেবিলের পেছন দিককার ঘরের দেয়াল দেখা যাইতেছে কিনা তাহা দেখা যায় না । দর্শকের উপস্থিত হইলে টেবিলের উপরিস্থিত বাক্সটী উঠাইয়া লওয়া হয় এবং তাহার উপরে একখানা টিনের থালার উপর একটা রক্তাক্ত নরমুণ্ড দেখা যায়। একজন মুসলমান প্রশ্ন করিতেছে এবং টেবিলের উপরিস্থিত | নরমুণ্ড উত্তর দিতেছে। নরমুণ্ডের কথা বার্তা | তাহ দেখা যায় না । আয়না দুখানি এমন শুনিয়া আমার নিশ্চয় বোধ হইল যে ঐ মুণ্ডই কথা কহিতেছে, অন্য কোন লুক্কাইত স্থান হইতে কেহ কথা কহিতেছে না । একবার মনে করিলাম যে টেবিলের উপর এমন কোন শিল্পকৌশল আছে যাহার মধ্যে শরীরটা লুক্কায়িত রহিয়াছে ; কিন্তু বিশেষ লক্ষ্য করিয়া দেখিলাম। | সেরূপ কিছুই নাই। + প্রিয় বালক বালিকাগণ ! তোমরা কি কাটা মুণ্ডের কথা বলা দেখিয়াছ ? যদি দেখিয়া থাক । তবে তাহা কি প্রকারে হয় তাহ জানে কি ? এই বিষয়টা ভাল করিয়া বুঝিলে তোমরা { জানিতে পরিবে যে প্ৰাকৃতিক বিজ্ঞান শাস্ত্রের দ্বারা নানা রকম আমোদ জনক বিষয় প্ৰস্তুত হয় । তোমরা সকলেই দৰ্পণে আপনাপন মুখ দেখিয়া থাক । এক থান কাচের পিছনে পারা মাখাইলে দর্পণ প্ৰস্তুত হয়। যতক্ষণ কাচের পৃষ্ঠে পারা মাখান না যায় ততক্ষণ তাহার মধ্য দিয়া অপর দিকের পদার্থ সকল দেখা যায়। কাচের পৃষ্ঠে পারা মাখাইলে আর তাহার মধ্য দিয়া কোন পদার্থ দেখা যায় না। কিন্তু তাহার সম্মুখে কোন বস্তু ধরিলে তাহার প্ৰতিবিম্ব দৰ্পণের উপরে পড়ে। প্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ । বাজিকরেরা বিজ্ঞানের এই নিয়মটী অবলম্বন করিয়া কাটামুণ্ডের দ্বারা কথা বলাইতে । পারে। উপরে যে টেবিলটির কথা বলিয়াছি ঐ টেবিলের সম্মুখে যে তিনটি পায়া আছে তাহদের মধ্যে টেবিলের উপরের তক্ত হইতে মাটি পৰ্য্যন্ত বড় দুই খানি আয়না বসান আছে। ঐ আয়নার সম্মুখে যদি কোন পদার্থ থাকে, আয়নার উপরোক্ত নিয়মানুসারে তাহার প্রতিবিম্ব পতিত হয়। কিন্তু ঐ আয়নার পেছন দিকে পারা মাখান | সখী । কৌশলে বসান যে একটু দূর হইতে গেলাসের | অল্প আলোকে আয়না যে আছে তাহা বুঝা যায় না। ঐ আয়না দুখানি পাশাপাশী সোজা বসান নহে ; যে রকম বঁকা করিয়া বসান তাহা উপরের ছবিতে দেখ।