পাতা:সখা (১ম ২য় ৩য় বর্ষ) - শিবনাথ শাস্ত্রী .pdf/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|२५| | ঠাকুরদাদার গম্প। শিশির (পূর্বের পর) । ক দিন প্ৰাতঃকালে সকলে বাগানে ২-৷ বেড়াইতে গিয়া স্থির করিলেন যে (E সে দিনকার শিশিরের কথার বাকী টুকু আজ শেষ করিয়া বুঝিতে হইবে । নবীন বাবুও উপস্থিত ছিলেন, সকলকে চারিদিকে বসাইয়া শিশিরের গল্প বলিতে লাগিলেন। প্ৰথমে সকলকে জিজ্ঞাসা করিলেন ; সে দিনকার কথা সকলের মনে আছে কি না ? সে কথা সকলেরই স্মরণ ছিল। সুতরাং নুতন কথা আরম্ভ হইল । भनाथ दलिल-‘यांङ दलिश लिन, लांगोंবাবু, শীতকালে বেশী শীতল বলিয়া বায়ুতে বাষ্প কম থাকিলেও শিশির বেশী পড়ে কেন ? এ কথাটা পরিস্কার করিয়া বুঝিতে হইবে।” নবীন বাবু বলিতে লাগিলেন :—“আমি পূৰ্ব্বে বলিয়াছি যে বায়ু কখনই একেবারে বাষ্পহীন হয় না। একটু না একটু জলীয় বাষ্প তাহাতে থাকেই থাকে। শীতকালেও সুৰ্য্যের উত্তাপ থাকে, ঐ উত্তাপে নদী, হ্রদ, সাগরাদি হইতে জল বাষ্প হইয়া উঠে। আরও একটা নিয়ম আছে যে বায়ু যত শুষ্ক অর্থাৎ বাষ্পহীন হয়, ততই উহার বাষ্প লইবার শক্তি বাড়ে। | অৰ্থাৎ কোন জলাশয়ের উপর দিয়া যদি একটী অধিক বাষ্প-বিশিষ্ট বায়ু-প্রবাহ চলিয়া যায় তাহা হইলে উহা ঐ জলাশয় হইতে যে পরিমাণে ۔ سی حصحصیاسی خاصیل استعحے জল বাষ্প করিয়া লইয়া যাইবে, শুষ্ক বায়ুপ্রবাহ তাহার উপর দিয়া বহিয়া গেলে তাহা অপেক্ষা অধিক পরিমাণে জল বাষ্প করিয়া লইয়া যাইবে । এ অতি সোজা কথা । কাজেই ঐ দুটী কারণে শীতকালের দিনের বেলায় বায়ুতে অনেকটা বাষ্প জমা হয়। এবং ঐ বায়ু সকালে ও রাত্রের অপেক্ষা কিছু গরম বলিয়া উহার বাষ্পটা জমিয়া তখন জল হইতে পারে না । কিন্তু যেই সূৰ্য্য অস্ত যায়, তার সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর উপরের সমস্ত জিনিস তাপ গ্ৰহণ অপেক্ষ তাপ বিকীরণ বেশী করিতে থাকে, আমনি ঐ বায়ু তাহাদের গায়ে ঠেকিয়া ঠাণ্ড হইয়া পড়ে। যেমন ঠাণ্ড হয় আমনি ক্ৰমে ক্রমে দিনের বেলার সঞ্চিত বাস্পগুলা সব জল হইয়া যায়। ঐ জল খুব ছোট ছোট কণার আকারে বায়ুতে ভাসিয়া বেড়ায় ও নিকটস্থ পদার্থ সকলে লাগিতে থাকে। ইহারই নাম হিম। শীতকালের রাত্রে সমস্ত বাতাসটাই এই হিমা পূর্ণ হইয়া যায়, সে সময়ে বাহিরে এলে গা বরফের মত কন কন করিতে থাকে। বুঝিতে পারিয়াছ ?” নলিন বলিয়া উঠিল “না দাদা বাবু! আমি ভাল বুঝিতে পারি নাই। আমাকে যতক্ষণ না ভাল করিয়া বুঝাইয়া দিবেন। ততক্ষণ আমি আর বেশী বলিতে দিব না।” নবীন বাবু একটু হাসিয়া বলিলেন “কেন ? এর ভিতর ত আর কোন শক্ত কথা নাই । শক্ত কথা যা কিছু সে দিনই বলিয়া দিয়াছি। তুমি ত সে দিন শুনিয়াছ যে সকল দ্রব্যেরই ‘তাপ-গ্ৰাহিত শক্তি” আছে, কোন গরম জিনিসের নিকট এলেই গরম হবে। আবার তেমনি সকল জিনিসেরই। “তাপ-বিকীরণ শক্তি” আছে, উহ্য থাকাতে গরম জিনিস মাত্রই নিজের গরম བར༠ - གལ་ - ခန္တီး