পাতা:সখা (১ম ২য় ৩য় বর্ষ) - শিবনাথ শাস্ত্রী .pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

기i II V শ্রদ্ধা করিতেন। হরিপদ বাবু অধিক লেখাপড়া BBBD D DBSDiD BBD DBBBD DDBDOS বুদ্ধিমান বলিয়া জানিত। উকিল হইলেই প্ৰবঞ্চক হইতে হয় যাহাদের বিশ্বাস, তাহারা শুনিলে কি মনে করিবেন জানি না, হরিপদ বাবু অসত্যের, প্ৰবঞ্চনার ছায়াতেও থাকিতেন না, যে মোকদ্দমা মিথ্যা বলিয়া হরিপদ বাবুর বিশ্বাস হুইত, যথেষ্ট অর্থের আশা থাকিলেও তা হাতে তিনি হাত দিতেন। না। হরিপদ বাবুর আর একটী অসাধারণ গুণ এই ছিল যে তিনি সকল ধৰ্ম্মকেই শ্রদ্ধা করিতেন, কখনও কোনও ধৰ্ম্মকে পরিহাস করিতেন না, এই জন্যই হরিপদ বাবু ব্ৰাহ্ম হইয়াও সকলের প্রগাঢ় শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন । হরিপদ বাবু নিকটে আসিয়া ডাকিলেন ‘ওহে, তুমি কে এখানে ঘুমুচ্ছে ?” ভীমেন্দ্র জাগিয়া উঠিয়া বসিলা।। হরিপদ বাবু পুনশ্চ ঐ কথা জিজ্ঞাসী করিলে ভীমেন্দ্ৰ বলিল “আমি কে, কোথায় আছি, তা কিছুই জানি না।” এইরূপ উত্তরে হরিপদ বাবু কিছু অপ্ৰস্তুত হইলেন, বলিলেন “তুমি কে তাও জান না, কোথায় এসেছ তাও জান না ? ভাল, এখানে এলে কি করে ?” ऊँीcभट दलिन, 'डts स्त्रनेि भ।”-ऊँीtभक এইরূপে কথার উত্তর দিতেছে কেন বোধ হয় পাঠক পাঠিকারা বুঝিতে পারিয়াছেন। দুটী কারণে ভীমেন্দ্র এইরূপ করিতেছে, প্ৰথম কারণ কিরূপে নিজের পরিচয় দিলে বাবুটী চিনিতে পরিবেন তাহা, ভীমেন্দ্ৰ ভাবিয়া পাইতেছিল না, কোন স্থানে এইরূপ কথাবার্তা হইতেছিল, ভীমেন্দ্ৰ বাস্তবিকই তাহা জানিত না ; তাহার পর এই স্থানে আসিবার ব্যাপার এত আশ্চৰ্য্য যে যদিও পাঠক পাঠিকা কি ঘটনা হইয়াছে তাহা বুঝিতে পারিয়াছেন, ভীমেন্দ্ৰ এখনও তাহা বুঝিতে পারে নাই ; দ্বিতীয় কারণ ভীমেন্দ্ৰ ক্ষুধার জালায় মৃতপ্ৰায় হইয়াছে, এখন সবিশেষ বলিতে কোনরূপ ইচ্ছা! নাই। হরিপদ বাবু বালকের চেহারা দেখিয়া । বুঝিতে পারিলেন বালকটী কোন বিপদে । পড়িয়াছে ; তখন তিনি স্নেহের সহিত তাহার | হাত ধরিলেন এবং বলিলেন, “আমার বাড়ীতে এস ; কিছুকাল বিশ্রাম করিলে, তাহার পর সকল কথা শুনিব।” ভীমেন্দ্র কলের পুতুলের ন্যায় উঠিল এবং ভাবিতে ভাবিতে, হরিপদ বাবুর সঙ্গে সঙ্গে গেল । বাড়ীর কর্তা ধাৰ্ম্মিক হইলে বাড়ীর কেহই যে অসৎ থাকিতে পারে না, হরিপদ বাবুর বাড়ী তাহার এক প্ৰমাণ। ভীমেন্দ্র যখন হরিপদ বাবুর বাড়ীতে গেল, ভাখন হরিপদ বাবুর ছেলে মেয়ে গুলি ভুটিয়া আসিল এবং ‘ইনি কে, বাবা ? “আমাদের বাড়ীতে থাকৃবেন কি ?’ ইত্যাদি কথা বলিয়া ৫ মিনিটের মধ্যেই ভীমেন্দ্ৰকে আপনার লোক করিয়া তুলিল। একটী ছেলে বলিল ‘ৰাবা, একে কি ব’লে ডাক্‌বো ? * হরিপদ বাবু মহামুর্কিলে পড়িলেন, হাসিয়া বলিলেন “আচ্ছা, ডাকবার বন্দোবস্তু পরে হবে, আগে ওর। জলখাবারের বন্দোবস্ত করা দেখি, উনি বোধ হয় অনেক অর্ণ কিছু খান নাই।” ছেলেরা যেন বিদ্যুতের মত হরিপদ বাবুর বাড়ী আলো করে ছুটিয়া গেল। মায়ের নিকট হইতে পয়সা লইয়া একটী বড় ছেলে দোকান হইতে খাবার লইয়া আসিল ; একটী মেয়ে আসন ও জলের গেলাশ আনিল— যাহারা কিছুই লইয়া যাইতে পারিল না, তাহারা বড় দুঃখিত হইল, এবং এই দুঃখের কিছু উপশম করিবার জন্য আগে গিয়া খবর দিল “বাবা, খাবার আসছে।” গোয়ার ভীমেন্দ্ৰ অসুখের অবস্থায় দীনদয়াল ও তরুর নিকট যে স্নেহ পাইয়াছিল, দেখিল এখানে তদপেক্ষা কম নহে, বরং অধিক - হরিপদ বাবুর আয় ভাত অধিক নহে-মূথচ | পরিবারে লোক সাত আটটী, বাবুর একটী বই দাসী নাই। তিনি أي টাকা হাতে হইলে একেবারে ভূ