পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o তীৰ্থসেবকদিগের কর্তব্য ... -- للعلفنطاس স্তরে মুনিমনোহর তাড়াগ, সরোবর, বনরাজিনীল গগণচূক্ষ্মী উত্তঙ্গ, পর্বতশৃঙ্গ, আবার ইহার এক শৃঙ্গ হইতে অপর শৃঙ্গে পতিত ক্রীড়াশীল চঞ্চল নিয়ন রঞ্জন গিরি নিবার, শু্যামলসুন্দর তৃণক্ষেত্র অথবা অনন্ত নীল অম্বুস্বামীর ভীমকান্ত তরঙ্গভঙ্গ-প্ৰকৃতির সুন্দর দৃশ্যপটের এই নয়নানন্দদায়ক চিত্রগুলি যখন একে একে চক্ষের সমক্ষে ফুটিয়া উঠে, তখন মনে যে অভূতপূৰ্ব্ব অনাবিল আনন্দের সঞ্চার হয়, উহা লেখনীর দ্বারা বর্ণনা অসাধ্য। আবার দেখুন, নিরর্থক দেশ ভ্ৰমণ।াপেক্ষা পুণ্যপূত হিন্দু তীর্থক্ষেত্র পরিদর্শনে কি পবিত্ৰ স্বৰ্গ শান্তির উপলব্ধি হয়-সে আনন্দ সঞ্চয়ার্থে ভ্ৰমণ সঞ্জাত দৈহিক শ্রম বা কষ্টকে কষ্ট বলিয়াই অনুভূতি হয়। না, বরং সে আনন্দের কণামাত্র আস্বাদনে ও নীরস হৃদয় কান্দরে শাস্তির ” “ সুধা প্ৰস্ৰবণ ঝরঝরধারে ঝরিতে থাকে । . প্ৰমাণস্বরূপ দেখুন-সৌরভে গৌরবময়ী পুষ্প ঈশ্বরের অপূর্ব সৃষ্টি, কিন্তু উদ্যানে কিশলয়শিরে সৌন্দৰ্য্যশালিনী প্ৰস্ফুটিত পুষ্প, পাত্র বিশেষের নিকটে পৌছিলে কেহ তাহাকে সন্তুষ্টচিত্তে দেবতার পাদ পদ্মে অঞ্জলি দিয়া আপনাকে চরিতার্থ বোধ করিয়া থাকেন, আবার কেহ বা সেই পুষ্প সংগ্ৰহ করিয়া দশজনের উচ্ছিষ্টা, ঘুণিত। বারনারীর কবরীর শোভা সংবৰ্দ্ধন করিয়া সুখানুভব করেন । ইহাতেই প্ৰমাণ পাওয়া যায় যে, অর্থ থাকিলেই সকলে সদ্ব্যবহার করিতে পারেন না । কামনাপূৰ্ব্বক যিনি যে কাৰ্য্য করিয়া থাকেন, যথাকালে তিনি তাহারই ফললাভ করিয়া থাকেন, সন্দেহ নাই। পৌরাণিক্ষ মতে বালক ধ্রুব বিমাতা কর্তৃক অপমানিত হইলে মাতার উপদেশ মত পিতৃরাজ্য লাভ করিবার জন্য “কোথা হে অনাথিনাথ পদ্মাপলাশিলোচনা শ্ৰীমধুসূদন”,বলিয়া কামনাপূর্বক এক মনে এক প্ৰাণে র্তাহার উপাসনা করিয়াছিলেন, যথাকালে তিনি সিদ্ধিলাভ করিলে সেই অগতির গতি,