পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ర్చి তীৰ্থ-ভ্ৰমণ-কাহিনী । হইয়া সেই অসংখ্য যাত্রীর জনতা ভেদ করিতে লাগিলেন, আর আমরা সকলে তঁাহার পশ্চাদগামী হইলাম। মধ্যে মধ্যে পুলিস প্রহরীগণের छुद्र द्रा नि८ऊ शब्भि । মন্দির মধ্যে প্ৰবেশ করিয়াই সৰ্ব্বপ্রথমে অষ্ট ধাতু নিৰ্ম্মিত এক দশভূজা দুৰ্গা মূৰ্ত্তি দর্শন পাইলাম। পাণ্ডা ঠাকুর বলিলেন, এই দশভূজা দুৰ্গা মূৰ্ত্তিই কামাখ্যাদেবীর প্রতিনিধিস্বরূপ বিরাজিত। যাবতীয় পৰ্ব্বক্রিয়া এই মহামায়ার নিকটেই সম্পন্ন হয় । যে প্রকোষ্ঠে এই দশভুজা মূৰ্ত্তি বিরাজ করিতেছেন, সেই প্রকোষ্ঠের ছাদটী শ্রেণীবদ্ধভাবে দ্বাদশটী প্ৰস্তর স্তম্ভোপরি শোভা পাইতেছে । এই সকল স্তন্তের দক্ষিণ ও পশ্চিমদিক স্থা প্ৰাচীর গাত্ৰে প্ৰস্তর খোদিত বিস্তর মূৰ্ত্তি দেখিতে পাইলাম, তন্মধ্যে এক স্থানে অস্ত্ৰবিদ্যা বিশারদ মহাত্মা দ্রোণাচাৰ্য্যের ও কুচবিহারের রাজাদের মূৰ্ত্তি আছে । এই দশভূজা দুৰ্গাদেবীর সন্নিকটেই নাট্যমন্দির শোভা পাইতেছে । তথায় ব্ৰাহ্মণগণ সমস্বরে বেদ পাঠ করিতেছেন এবং ভক্তগণ গলালগ্ন কৃতবাসে মহামায়ার কৃপা ভিক্ষা করিতেছেন । এই নাট্যমন্দিরের পরই দেবীর বলিদানের স্থান । আমরা স্বচক্ষে দেখিলাম, এখানে হংস, পারাবত প্ৰভৃতি বলি হইয়া রক্তস্রোত প্রবাহিত হইতেছে । তৎপরে মূল কামাখ্যাদেবী : মন্দির। এই মন্দিরে প্রবেশ এক মহামারী ব্যাপার । সে জনতা ভেদ করিয়া কিরূপে প্ৰবেশ করিব, ইহাই চিন্তার বিষয় হইল ; অবশেষে পাণ্ডার উপদেশ মত পৃথক পাঁচ টাকা ঘুস দিয়া পশ্চাদ্ভাগের দ্বারা দিয়া সুস্থ শরীরে প্রবেশ করিলাম। কামাখ্যাদেবীর মূলমন্দিরের চারিদিকে চারিটি প্ৰবেশ দ্বার আছে, কিন্তু সম্মুখভাগের দ্বারেই জনতা অধিক দেখিলাম ; যদিও বহু কষ্টে এই দ্বারদেশে উপস্থিত হওয়া যায়, তথাপি প্রহরীদিগের গুতার চোটে অস্থির হইয়া পশ্চাদপদ হইতে হয় ।