পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

brV) -- কালভৈরব ও অন্নপূর্ণ দেবীর দর্শন করিয়া জীবন ও নয়ন চরিতা করিলাম ; তাৎপরে পথিমধ্যে জ্বালামুখী কালীমূৰ্ত্তিও দর্শন করিলাম । কথিত আছে, ভক্তিপূৰ্ব্বক এই কালিকাদেবীর দর্শনে মানব, সকল প্ৰকার জ্বালা যন্ত্রণা হইতে পরিত্ৰাণ পাইয়া থাকেন ; তাহার পর এখান হইতে লবণাক্ষ নামক তীর্থের সেবা করিবার জন্য প্ৰস্তুত হইলাম । লবণাক্ষ তীর্থ কুমারীকুণ্ড হইতে লবণাক্ষ তীর্থ স্থানটী অনূ্যন দুই মাইল দূরে : অবস্থিত। এই ক্রোশব্যাপী পথ কোথাও পৰ্ব্বতের পাশ্বদেশ, কোথাও । বন জঙ্গলাকৃতি স্থানের মধ্য দিয়া, আবার কোথাও বা রাজপথের উপর দিয়া যাইতে হয়। র্যাহারা এই দুৰ্গম পথ চলিতে অসমর্থ হইবেন, তাহাদিগকে গো-যানে যাইতে হইবে । বলাবাহুল্য, আমাদিগের সাহিত স্ত্রীলোক এবং অসমর্থ বালক-বালিকা থাকাতে বাধ্য হইয়া গোযানের সাহায্যে এই তীর্থের পাদমূলে উপস্থিত হইয়াছিলাম। লবণাক্ষ তীর্থ টা এক প্রস্রবণ বিশেষ । ইহার জল উষ্ণ ও সমুদ্রের জলের ন্যায়। আস্বাদে লবণাক্ত ; এই কারণের জন্য এই তীর্থ কুণ্ডটার না” – “লবণাক্ষ* হইয়াছে। লবণাক্ষের সন্নিকটেই বাসিকুণ্ড নামে তি, ধু একটী কুণ্ড বিরাজিত, অর্থাৎ লবণাক্ষ তীৰ্থকুণ্ডের জল উথলিয়া যে স্থানে পতিত হইতেছে, সেই স্থানটাই বাসিকুণ্ড নামে খ্যাত হইয়াছে । পুরোহিত ঠাকুরের উপদেশ মত সৰ্ব্বপ্রথমে আমরা সকলেই এই বাসিকুণ্ডের জল স্পৰ্শাপূর্বক কায়া শুদ্ধ করিয়া তৎপরে লবণাক্ষ কুণ্ডে স্নান করিলাম। লবণাক্ষ কুণ্ডটি একটা গৃহের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত আছে, ইহার উপরিভাগে এক পাশ্বে এক স্থান হইতে অগ্নিশিখা বহির্গত হইতেছে এবং নীলা