পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তীৰ্থ-ভ্ৰমণ-কাহিনী পাতালপুরীতে অবস্থান করে, লোক অধিক থাকিলে প্ৰাণ ভয়ে তাহাকে পলাইতে হইবে । বলাবাহুল্য, এই চন্দ্ৰনাথ পাহাড়ের পাতালপুরী হইতে পৰ্ব্বতের উচ্চ শৃঙ্গ পৰ্য্যন্ত গুহার মধ্যে যে কত সাধু সন্ন্যাসীর বাস স্থান আছে—উহা বৰ্ণনাতীত । অধিকাংশ সন্ন্যাসীরা আপন আপন ধুনী প্ৰজ্বলিত করিয়া শিষ্য সমভি ব্যাহারে গঞ্জিকায় দম দিয়া চক্ষুদ্বয় রক্তবর্ণপুর্বক মধ্যে মধ্যে “জয় শঙ্কর চন্দ্ৰনাথ স্বামী কী জয়” শব্দ উচ্চারণ করিয়া ভগবানের মহিমা প্ৰকাশ করিতেছেন । এই সকল সাধু সন্ন্যাসী দিগকে দশন করিলে ভক্তির উদয় হয় । পাতালপুরী পূৰ্ব্বোক্ত এই ঢালু পথ দিয়া পাও ঠাকুর ও ভিখারী দিগকে অগ্রগামী কারিয়া অতি ক ষ্টে যথা স্থানে উপস্থিত হইলাম । এখানে স্ত্রীলোকা দাগের তীর্থ দর্শনের সহিষ্ণুতা দেখিয়া আমি বিস্ময়াখিষ্ট হ’হ- লাম ; কারণ আমরা পুরুষ হইয়া এই অতুচি পাহাড়ে উঠিতে বা নামিতে যে কিরূপ পরিশ্রান্ত হইয়াছিলাম, উহা অা ট্রাই বুঝিতে পারিয়াছিলাম। এই নিমিত্ত আমি একবার ব্যঙ্গ ছা , , আমাদের দলস্থ স্ত্রীলোকদিগকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “ এবার এই পাতালপুরীতে হরগৌরীর দর্শন করিয়াই আমরা স্বদেশ যাত্ৰা করিব, কারণ এই রূপ কষ্টকর তীর্থ স্থান দর্শন আর সাহা করিতে পারি না ।” তাহারা যে ক্লাস্তি না হইয়াছিলেন, এরূপ ত আমার মনে হয় না, তথাপি পূজনীয় মাতা ঠাকুরাণীর নিকট হইতে যেরূপ উপদেশ পাইলাম, উহাতেই আমার চৈতন্যলাভ হইল । তিনি উত্তর দিলেন যে, যখন একে একে এখান - কার প্রায় সমস্ত তীর্থ স্থানগুলি দর্শন করিয়াছি, তখন অবশিষ্ট যে