পাতা:সচিত্র রেল অবতার - অনাথবন্ধু সেন.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রেল অবতার।

আমাদের ঠারেঠোরে ইসারা। কিছুদিন রেলে থাক‍্লেই এ সব জান‍্তে কিছু বাকি থাকবে না। তবে এ ইসারার বিপত্তিও আছে; তবে একটা গল্প বলি শোন:—

 “নীলরতন বাঁড়ুয্যে সান্তাহারের একটু দূরে একটা ছোট ষ্টেসনের মাষ্টার ছিলেন। যে যায়গায় তিনি থাক‍্তেন, সেখানে চাল, ডাল, জিনিষ পত্র বড় কিছু পাওয়া যেত না। সব জিনিষই সান্তাহার থেকে আনিয়ে নিতে হ’ত। সান্তাহারের এসিষ্টাণ্ট এক সময় তাঁর তারবাবু ছিলেন; তিনিই জিনিষপত্র পাঠিয়ে দিতেন।

 বাঁড়ুয্যে মশায় ত্বরিতানন্দের ভক্ত ছিলেন; অর্থাৎ—একটু বেশী মাত্রায় গঞ্জিকা সেবন করতেন। সান্তাহারের নিকট নওগাঁয় গাঁজার আড্ডা; একটু সস্তাও পাওয়া যায়। কাজেই বাঁড়ুয্যে মশায় সান্তাহার থেকেই গাঁজা আনাতেন।

 লোক না বুঝতে পারে সেই জন্য এসিষ্টাণ্ট বাবুকে বলা ছিল—দরকার পড়িলে তিনি তারে ‘প্র্যাকটিশ’ দিবেন। চাউল দরকার জানাইলেই—গাঁজা দরকার, বুঝিতে হইবে। একমণ লিখিলে—এক ভরি, দুইমণ লিখিলে—দুইভরি। এইরূপ যেন পাঠাইয়া দেওয়া হয়। আসল চাউলের, কিম্বা অন্য জিনিষের দরকার হলে, তিনি চিঠিতে জানাইবেন।

 বলিয়াছি ত—বাঁড়ুয্যে মশায় একটু পাকা রকমের গাঁজা খোর। কাজেই এরূপ ‘প্র্যাকটিশ্’ প্রায়ই আসিত। সঙ্কেত জানাছিল বলিয়া গাঁজা পাঠাইবার ও তাঁহার পাইবার কোন গোলমাল হইত না।