“বেশত তোমার আক্কেল! গাড়ীখানা কতক্ষণ চলে গেছে, এখনও তোমার চাল্ পাঠিয়ে দেওয়া নেই? এত বেলা হ’লো, আমি কখন রাঁধ্ব—? বুড়ো হচ্ছ—কোথা রোজ রোজ বুদ্ধি বাড়বে, না বাঁদর হচ্ছ।”
বাঁড়ুয্যে মশায় ভয়ে আরও জড়সড় হলেন; তিনি আম্তা আম্তা করে বল্লেন:—
“ওগো, চাল্ কি আর এসেছে, যে আমি তোমায় পাঠিয়ে দেবো? আমিত ঠিকমতই তার করেছিলুম; রান্না হবে না পর্যন্ত লিখে দিয়ে ছিলুম—যাতে চাল্ পাঠাতে ভুল না হয়। কিন্তু সে বড় ভুল করে ফেলেচে। সে দুমণ চাল্ না পাঠিয়ে দু ভরি গাঁজা পাঠিয়ে দিয়েছে। ওগো, তবে—কথাটা শুনবে?”
বাঁড়ুয্যে, গিন্নির রাগটা থামাইবার জন্য আরও নরম সুরে বলিতে লাগিলেন—
“আমি গাঁজা খাই, তাতো জান। গাঁজার কথাটা লেখা যায় না বলে, আমি সতীশকে লিখ্তুম—চাল্ পাঠাবে। অবশ্য আমাদের মধ্যে, বোঝা পড়া ছিল।
“এবার কিন্তু ভারী ভুলেছে। রান্নার জন্য দরকার, এত বিশেষ করে বুঝিয়ে দিলেও-গাঁজা না হয়ে, যে আসল চাল্ চেয়ে পাঠিয়েছি, তা সে বুঝ্তে পারে নাই। এখন কি করবে বল—ছোটবাবুদের ঘর থেকে কিছু চাল্ টাল নিয়ে এ বেলাটা চালিয়ে দাও। আমি আবার তাকে তার করছি।”
গিন্নি চেঁচিয়ে বল্লেন—“ওগো, তোমার আর তার পাঠিয়ে