জাতিতে ব্রাহ্মণ—লম্বা টিকি—আর এই পইতার গোছা! তারবাবু ছিটে ফোঁটা কাটেন—পূজা আহ্ণিক করেন—দেখতে যেন পরম সাত্ত্বিক পুরুষ।
একদিন তারবাবু ষ্টেশন—মাষ্টারকে বল্লেন—“দেখুন মাষ্টার ম’শায়, এ সময়ে ড্রাইভার বেটারা বেশ দুপয়সা রোজগার কচ্ছে, আমাদের জমাদার, পয়েণ্টম্যান পর্যন্তও বাদ যাচ্ছে না। এমন একটা দাঁও থাকতে আমরাই খালি ফাঁকে পড়চি। এখন ত আর মাল টাল হচ্ছে না, যে দু পয়সা রোজগার হবে? আসুন না কেন, একটা ফন্দি খাটিয়ে কিছু মেরে নেওয়া যাক্—সমস্ত দিনটা শুধু বেকার বসে থাকা হয় বইত নয়।”
ষ্টেশন-মাষ্টার হেসে বল্লেন—“মন্দকি? একটা ভাল রকমের ফন্দী ঠাউরে ফেলুন্ দেখি—আমার ত মাথায় তেমন কিছু খেলছে না।”
তারবাবু বল্লেন—“আমার ফন্দি টন্দি সব ঠিক করা আছে, তবে কাল থেকেই কাজটা শুরু করা যাক্।”
তার পরদিন বেলা আটটা ন’টার সময়, তারঘরের বেঞ্চি চেয়ার সরিয়ে বেশ পরিষ্কার করা হলো। কোশাকুশী ও নৈবেদ্য সাজিয়ে, একটা হরিণের চামড়া পেতে, তারবাবু সেই ঘরটায় বস্লেন—ধূপ ধূনা জ্বল্তে লাগলো। তারের কলটার উপর খানিকটা সিন্দুর লেপে রাখা হলো।
সকাল থেকেই লোকজন আস্তেে আরম্ভ করেছিল। বেলা দশটার মধ্যে, স্টেশনটি লোকে ভরে গেল। জমাদার, পয়েণ্টস্ম্যান