গুলোকে শিখান ছিল;—তারা বল্লে “ঘরের মধ্যে ‘দ্যওতার’ পূজো হচ্ছে, তোমরা দেখবে তো যাও। ভাল করে পূজোর পয়সা কড়ি দিলে ‘দ্যাওতা’ ভারী সন্তুষ্ট হবেন। এমন জাগ্রত ‘দ্যাওতা’ যে আর নাই, তা তো তোমরা দেখতেই পাচ্ছ।”
লোকগুলা নূতন কিছু দেখতে পাবে বলে, ছুটে তারঘরের দিকে গেল। দরজার কাছে, পূজো দেখবার জন্য, ভারী ঠেলা ঠেলি, হুড়াহুড়ি লাগিয়ে দিলে। পয়েণ্টস্ম্যান, জমাদারেরা অনেক করে তাদের থামিয়ে রাখ্লে।
তারবাবু স্তিমিতনেত্রে কতকক্ষণ ধ্যান কর্লেন। তার পর কোশাকুশী আর নৈবেদ্য নেড়ে পূজো আরম্ভ হলো। সে পূজো কি শিগ্গির ফুরোয়? প্রায় দুঘণ্টা চল্লো। পূজো শেষ হ’লে তিনি সবাইকে বল্লেন—“তোমরা সব খোঁটাখুটী ছেড়ে দাঁড়াও, শিগ্গির ‘দ্যাওতা’ আস্ছেন।”
লোকগুলো হাঁ করে দাঁড়িয়ে রইল।
তারবাবু ঘণ্টার কলে চাবিটা এঁটে দিয়ে, একখানা লাল চেলির কাপড় দিয়ে কলটা ঢেকে দিলেন। একটু পরেই ঠং ঠং করে ঘণ্টা বাজতে আরম্ভ হলো।
তারবাবু চেঁচিয়ে বল্লেন—“এই ‘দ্যাওতা’ এসেছেন—এই ‘দ্যাওতা’ এসেছেন। তোমরা প্রণামী দাও আর সাষ্টাঙ্গে প্রণাম কর—‘দ্যাওতা’ তোমাদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ কর্বেন।”
লোকগুলো প্রণাম করে, একটা সিঁদুর দেওয়া থালার উপর টপাটপ্ পয়সা ফেল্তে লাগলো। দেখ্তে দেখ্তে থালাখানা