বেটা কে? এর একটা হেস্তনেস্ত না করে, আমি কিছুতেই ছাড়্ছি না!”
আরও দুই চারি জন গার্ডসাহেব সেই ষ্টেশন-মাষ্টারের আফিসে ছিলেন। তাঁরা বলিলেন—“বড় বাবু হলে কি হয়?—আমাদের নামের একটা সামান্য চিঠিও সে সই করে কিসে? আমরা য়ুরোপীয়ান্—আমাদের চিঠি নেটিভে সই কর্ব্বে? এর একটা প্রতীকার আমাদের শীঘ্রই কর্তে হচ্ছে—না হলে মান ইজ্জত কিছুই থাকে না।”
তারপর যুক্তি পরামর্শ করিয়া, কালা বাঙ্গালীর দর্প চূর্ণ করিবার জন্য একটা লম্বা দরখাস্ত লেখা হইল। ষ্টেশনের যত ফিরিঙ্গীর দল সবাই সহি করিলেন।
স্টেশন-মাষ্টারের পরামর্শ মত একখানা আলাদা দরখাস্তে, গার্ডসাহেব জরিমানার বিষয়ে পুনর্ব্বিচার প্রার্থনা করিলেন; আর তিনি য়ুরোপীয়ান বলিয়া, চিঠিতে বাঙ্গালীর সহি থাকায়, অপমানিত বোধ করিয়াছেন, একথাও বিশেষ করিয়া জানাইলেন।
দুইখানি দরখাস্ত একদিনেই বড় সাহেবকে পাঠান হইল।
* * *
দুই তিন দিন পরে বড় সাহেব আফিসে ফিরিয়া আসিলেন। দরখাস্ত দুই খানা দেখিয়া ব্যাপার কিছু বুঝ্তে পারিলেন না। বড় বাবুকে ডাকিয়া পাঠাইলেন।
বড় বাবু আসিলে বলিলেন “ব্যাপার কি, গাঙ্গুলী?”