হর্ষনাথ বাবু বলিলেন “ব্যাপার আর কিছু নয়। এ চিঠিখানা আপনার ডাকে পাঠাতে ভুল হ’য়ে গেছল। চিঠিখানা তেমন কিছু জরুরী না দেখে, আমিই সই করে পাঠিয়ে দিয়েছিলুম। আপনি তাকে জরিমানা করেছেন, আমি আপনার বকলম (for) দিয়ে সহি করেছি মাত্র। এই আমার অপরাধ!”
সাহেব ব্যাপার বুঝিয়া হাসিয়া বলিলেন—“আচ্ছা, আপনি এখন যান্। পরে আমি হুকুম দেব।”
* * *
পরদিন সকালে সেই গার্ডসাহেবের নামে চিঠি আসিল। চিঠিখানা—আগেকার চিঠিখানার হুবহু নকল। প্রভেদের মধ্যে এই যে—চিঠিখানা গোটা গোটা অক্ষরে বড় সাহেবের হাতে লেখা, কিন্তু সহিটা সেই বড়বাবুর-ই! কেরাণীবাবুদের মত সহিটার নীচে, বড়সাহেব তাঁর নামের অক্ষর গুলি (Initial) লিখিয়া দিয়াছেন মাত্র।
গার্ডসাহেবের ত চক্ষু স্থির! অন্যান্য সাহেবেরাও মুখ ব্যাদান করিলেন।
ষ্টেশন-মাষ্টার বলিলেন “কাল সন্ধ্যার পর, বড়সাহেবের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। কথাপ্রসঙ্গে তিনি বল্লেন “তুমি দরখাস্তকারী মূর্খ গার্ডগুলোকে বলো যে, চিঠিগুলো আমার কাছ থেকেই আসে। হেডক্লার্ক বাবু কিছু হুকুম জারি করেন না! বাঙ্গালী দি’কেই নিয়ে আমার অফিস চল্ছে, কাজেই তা’