পাতা:সচিত্র রেল অবতার - অনাথবন্ধু সেন.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রুইমাছের মাথা।

 রেলস্টেশনে অনেক লোকের আড্ডা। রেলের কি মোহিনী মায়া আছে জানি না, তবে ষ্টেশন-মাষ্টার একটু ভদ্র ও সামাজিক হইলে, অনেক ভদ্রলোকই ষ্টেশনে আপনাদের অবসর কাটাইতে ভালবাসেন। মফঃস্বলের জেলা ও মহকুমার উকীল, মোক্তার, ডাক্তার প্রভৃতি ব্যবহারিকের দল, সন্ধ্যার সময় স্টেশনের দিকে হাওয়া খাইতে আসেন—পান তামাক খান্—গল্প গুজব করেন—আর কখনও বা তাস পাশা পিটিয়া একটু রাত্রি হইলে বাড়ী ফিরিয়া যান। ইহাতে ষ্টেশন-মাষ্টারের লাভ এই যে, সারাদিন খাটনির পর আর তাঁহাকে পরের বাড়ী বাড়ী মেলামেশা করিতে যাইতে হয় না; একই জায়গায় বসিয়া সকলের সহবাস সুখ লাভ করিতে পারেন।

 উকীল রমেশ বাবুর বাসা ষ্টেশনের খুব কাছেই। তিনি ষ্টেশনের একজন প্রধান আড্ডাধারী। আজ তাঁর বাসায় সান্ধ্য-ভোজন হইবে। সন্ধ্যা ৫টার গাড়ীতে একটি বৃহৎ রোহিত মৎস্য আসিবার কথা; তিনি তাহারই আগমন প্রতীক্ষা করিতেছিলেন। বলা বাহুল্য, এ নিমন্ত্রণে কেবল রেলের বাবুরাই আহুত হইয়াছিলেন।

 ৫টার গাড়ী আসিলে কয়েক ঝুড়ি মাছ ও অন্যান্য দ্রব্যাদি নামিল। উকীল বাবুর মাছ আসিল না। তিনি বিব্রত হইয়া