পড়িলেন। ষ্টেশন-মাষ্টারকে বলিলেন “মাষ্টার, এ ট্রেণে আমার মাছ না আসার কারণ ত আমি কিছুই বুঝ্তে পারছি না। নগেন বাবু চিঠি দিয়েছিলেন—এ ট্রেণে মাছ নিশ্চয়ই আস্বে। সেই ভরসাতেই আমি আপনাদি’কে নিমন্ত্রণ করেছি। এখন মাছ না এলে আমি যে কি কর্ব্ব, তা বুঝে উঠ্তে পারছি না।”
ষ্টেশন-মাষ্টার বলিলেন—“মাছটা না আসা একটু ভাবনার কথা বটে—তবে আমার বোধ হয়, ট্রেণ ছাড়বার পূর্ব্বে মাছটা ষ্টেশনে এনে পৌঁছে দিতে পারে নাই; তাই এ গাড়ীতে এল না। ৭টা ৫ মিনিটের ট্রেণে নিশ্চয়ই এসে পৌঁছুবে। এ ট্রেণে এলে একটু সুবিধা হতো বটে—না হয়, আহারাদি একটু রাত্রিতেই হবে।”
একটু চিন্তিত হ’য়ে উকীল বাবু বলিলেন—“না মশায়, রাত্রি অনেক হ’য়ে যাবে। মাছটা এলে তবে রান্না আরম্ভ হবে। মাংসের ব্যবস্থা হয় নাই—মাছ দিয়েই সব হবে। কাজেই খাওয়া দাওয়া একটার কম হবে না। আর যদি মাছ নাই আসে—সেই ভাবনাই আমি আরও ভাব্ছি। সকালবেলা হলে, আপনাকে বল্লে, অন্ততঃ ছোট মাছও দু চারটে পেতে পারতুম। এখন যে তারও জো নাই।”
ষ্টেশন মাষ্টার। হাঁ, সকালবেলা হ’লে ত কথাই ছিল না। আমরা মেছোদের কাছ থেকে ঝুড়ি পেছু যে একটা করে মাছ পেয়ে থাকি, তাই আদায় করে আপনাকে দিলে, আপনার কাজ বেশ চলে যেত—একটাও পয়সা খরচ হ’ত না।