তা, আপনি যে খাওয়াবেন সে কথাওত আমাকে কিছু বলেন নি। আমার কি দোষ বলুন?
রমেশ বাবু। আপনাকে কি দোষ দিচ্ছি? তা—নয়। তবে কি জানেন—আপনার কাছ থেকে বিনি পয়সায় মাছ নিয়ে আপনাদি’কে খাওয়ান কেমন কেমন দেখায়, তাই আপনাকে অনুরোধ করি নাই। আপনি ত প্রায়ই মাছ আমার বাসায় পাঠিয়ে দেন, আমি কি তা কখনও ফিরিয়ে দিয়েছি? আপনারা আছেন বলেই ত শাকটা, পানটা, মাছটা এক-রকম না কিনেই আমার চলে যায়। এবারকার কথা হচ্ছে স্বতন্ত্র!
ষ্টেশন-মাষ্টার। যাক্—ভেবে চিন্তে আর কি হবে বলুন। আমাদের বরাতে থাকলে মাছ নিশ্চয়ই এসে পড়্বে।
উকীলবাবু একটু আশ্বস্ত হইলেন বটে, কিন্তু ভাবনাটা একেবারে গেলনা। তিনি পান ও তামাক মুহুর্মুহু চালাইতে লাগিলেন।
৭ টা ৫ মিনিটের ট্রেণ আধ ঘণ্টা দেরীতে আসিল। ট্রেণের বিলম্ব দেখিয়া, উকীলবাবু ছট্ফট করিতেছিলেন। গাড়ী আসিলে, মাছ আসিয়াছে কি না দেখিবার জন্য, গার্ডের গাড়ীর দিকে গেলেন। সেই ট্রেণ হইতে একটী বড় রকমের রুইমাছ নামিয়াছিল, কিন্তু তাহার মাথা ছিলনা। লেবেল মিলাইয়া দেখা গেল—সেইটাই উকীল বাবুর।
উকীলবাবু বিস্ময়ের সহিত বলিলেন—“একি, মাছটার মাথা গেল কোথা?”