চার পায়া, না চার পেয়ে?
ষ্টেশনে গাড়ী এসে পড়েছে। সে দিন তেম্নি ভিড়— টিকিটের জানালার কাছে লােক ঠেসাঠেসি; খালি—‘টিকিট দাও’, ‘টিকিট দাও’ শব্দ। তারাপদ ভায়া, এই সবে পাশ করে, টিকিট বাবু হ’য়ে এসেছে। সে, দু দশটা প্যাসেঞ্জার হলেই, হাঁফিয়ে যায়—তা’তে এমন ভিড়, তা’র যে কি অবস্থা হচ্ছে, তা আপনারা বুঝ্তেই পাচ্ছেন। এই গাড়ীখানা প্রায় আধঘণ্টা দাঁড়ায় বলেই, কোনরকমে সে টিকিট দেওয়া সেরে নিতে পাল্লে। পকেট থেকে রুমাল খানা নিয়ে মুখটা, কাণটা, দাড়িটা বেশ ক’রে মুছে ফেল্লে। তারপর ঝুপ করে চেয়ারটার উপরে বসে পড়ল। ভাবলে—“যাহাে’ক, বাবা, নিশ্চিন্দি হওয়া গেল; এখন ক্যাসটা মিল্লেই বাঁচি।”
এমন সময় একটা মেড়াে ছুট্তে ছুট্তে এসে বল্লে, বাবু, “আমার একটা চারপায়া আছে বুক্ করে দিন্—এটা এ ট্রেণে পাঠাতেই হবে।”
এমন সময় পয়লা ঘণ্টা পড়্ল।
তারাপদ বল্লে—“পয়লা ঘণ্টা হ'য়ে গেল—আর কিছু বুক্ করা হবে না—সময় নাই।”
মেড়াে বেটা দুগণ্ডা পয়সা ঘুষ দিতে স্বীকার কর্লে—তবু তারাপদ গররাজী। শেষে চার্ গণ্ডা পয়সাতেই রফা হ’লাে।